রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন,‘আমি ছাত্রলীগের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে বিব্রত হয়েছি। নানা সময় ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম অথবা অন্যান্য জায়গায় ছাত্রলীগের নানা কর্মকাণ্ডে বিব্রত হয়েছি এটা স্বীকার করতে আমার কোনও কুণ্ঠা নেই।’ সোমবার (০৮ অক্টোবর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাবি চারুকলা অনুষদ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।
ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন,‘আমি মনে করি, আমাদের এ রাজশাহী নানা দিক দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ছাত্রসমাজ এবং ছাত্রলীগ নতুন আলোক বর্তিকা নিয়ে সমাজকে জাগ্রত করবে, নতুনভাবে নতুন চেতনাকে ধারণ করবে। তোমরাই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করবে।’
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে মেয়র লিটন বলেন,‘মানুষ বুঝতে পারে এমন চিত্রকর্মের মাধ্যমে সমাজের মানুষকে আন্দোলিত করে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব। আমরা কি তোমাদের কাছে এ ধরনের কিছু চিত্রকর্ম আশা করতে পারি না? যার মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব।’
এসময় মেয়র লিটন রাজশাহীতে আর্ট গ্যালারি নির্মাণ, সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ড্যান্স ও ফোকসংসহ (লোকসঙ্গীত) বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথক পৃথক অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন,‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বাংলাদেশ বললে বঙ্গবন্ধু এসে যায় আর বঙ্গবন্ধু বললে বাংলাদেশকেই বোঝায়।’
অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরি মো. জাকারিয়া, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যা