Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ভারতের সিরিজ জয়

indiaলক্ষ্য ছিল মাত্র ৭২ রান। খুবই মামুলি লক্ষ্য। ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর পৃথ্বি শ বাকি ব্যাটসম্যানদের আর কষ্ট করে মাঠেই নামতে দিলেন না। এমনকি পরের দিনের জন্যও বাকি রাখলেন না কিছু। দু’জনই শেষ করে দিলেন ম্যাচ। ওয়ানডে স্টাইলে খেলে মাত্র ১৬.১ ওভারেই ভারতকে পৌঁছে দিলেন জয়ের বন্দরে। সে সঙ্গে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ভারত জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে।

৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত করেছে ৭৫ রান। এর মধ্যে ৯ রান এসেছে আবার অতিরিক্তের খাতা থেকে। বাকি ৬৬ রান লোকেশ রাহুল আর পৃথ্বি শ দু’জন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সমানভাবে। অর্থ্যাৎ ৩৩ রান করে। পৃথ্বি শ ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ১৩৪ রান। প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছিলেন ৭০ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন অপরাজিত ৩৩ রান।

chardike-ad

ম্যাচ শেষে অবশ্য সেরার পুরস্কার উঠেছে ভারতীয় পেসার উমেষ যাদবের হাতে। কারণ, এই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে সেরা ফর্মের উত্তুঙ্গে রয়েছেন সম্ভবত ভারতীয় এই পেসার। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৪ উইকেট। ৪০ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো এক টেস্টে ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।

উমেষ যাদবের আগুনে বোলিংয়ের সামনে হায়াদরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমত উড়ে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল মাত্র ৭২ রানের। অথচ টেস্টের মাত্র আজ তৃতীয় দিন।

উমেষ যাদবের ৪ উইকেটের সঙ্গে বাকি ৬ উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা। ৩ উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, ২ উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এবং ১টি নিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব।

ভারতীয় বোলারদের সামনে কেবল মাত্র সুনিল আমব্রিস এবং সাই হোপ কিছুটা লড়াই করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমব্রিস করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। ৯৫ বল খেলে ৪ বাউন্ডারিতে এই রান করেন তিনি। সাই হোপ ৪২ বল খেলে করেন ২৮ রান। ১৯ রান করেন জ্যাসন হোল্ডার, ১৭ রান আসে শেমরন হেতমায়ারের ব্যাট থেকে। ১০ রান করেন দেবেন্দ্র বিশু।

দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ক্যারিবীয়রা ব্যাট করতে নামে, তখন প্রথম ইনিংসে ভারতীয়দের চেয়ে ৫৬ রান পিছিয়ে ছিল তারা। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১২৭ রানে অল আউট হয়ে যায় জ্যাসন হোল্ডারের দল। ফলে তাদের লিড দাঁড়াল ৭১ রান।

প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ৩১১ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত করেছিল ৩৬৭ রান। ৫৬ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট কারিবীয়রা। কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করে ৭৫ রান।