Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই

ayub-baccuজনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। স্কয়ার হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে নেয়ার পথে ৯টা ৫৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধে হয়ে তার মৃত্যু হয়।

আইয়ুব বাচ্চুর স্বজনরা জানান, সকালে নিজ বাড়িতে হার্ট অ্যাটক করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল দশটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগেও অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। তিন সপ্তাহ আগে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। তখন সুস্থ বোধ করায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

chardike-ad

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এ শিল্পী। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।

আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার এবং প্লেব্যাক শিল্পী। এল আর বি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৯৭৮ সালে সঙ্গীতজগতে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংসের মাধ্যমে। অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তাঁর শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত।

তাঁর ডাক নাম রবিন। তাঁর কন্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গানটির কথা লিখেছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত রক্তগোলাপ আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। ১৯৯১ সালে জন্ম নেওয়া ‘এলআরবি’ ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন তিনি।

মূলত রক ঘরানার কন্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। তার কণ্ঠে গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ’চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’ ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ ‘অবাক হৃদয়’ ‘আমিও মানুষ’ ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘সুখ’, ‘মন চাইলে মন পাবে’সহ অসংখ্য গান।