
হাস্যজ্জ্বোল মুখটি দেখে বোঝার উপায় নেই, বল হাতে কতটা ভয়ঙ্কর তিনি। বল হাতে আগুন ঝরিয়ে সরল হাসিতে ফেটে পড়েন উল্লাসে। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের পেস সেনসেশন মোহাম্মদ আব্বাসের কথা। বয়স ২৮। পড়ন্ত বেলায় ক্যারিয়ারে আলোক রশ্নির বিচ্ছুরণ ঘটালেন এই বোলার। খেলেছেন মাত্র ১০টি টেস্ট। শিকার করেছেন ৫৯টি উইকেট। এর মধ্যে ১৭টি উইকেট শিকার করেছেন চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দুই টেস্টে। প্রথম টেস্টে সাতটি উইকেট শিকার করেছেন। আর দ্বিতীয় টেস্টে ১০টি। আর এর মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কিপটে ফাস্ট বোলারের তকমা পেয়েছেন তিনি। আর সাথে তিনি গড়েছেন শত বছরে সবচেয়ে সেরা বোলার হওয়ার রেকর্ড।
হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে আর কোনো পেসারের এতো কম গড়ে বোলিং করেননি। আব্বাস দুই টেস্টে ১৭ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১০.৫৮ গড়ে। আর পাকিস্তানের হয়েও সেরা বোলারের তকমা তার গায়ে। তার আগে ছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। ২০০৬ সালে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭১ রানে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ১০.৭৬ গড়ে।

এছাড়া আব্বাসের টেস্ট ক্যারিয়ারের বোলিং গড় ১৫.৬৪, যা শত বছরে অর্ধশতাধিক উইকেট শিকার করা যেকোনো বোলারের চেয়ে সেরা। আর সর্বকালের সেরাদের মধ্যে চতুর্থ।
আব্বাসের আরো যত কীর্তি-
১) আবু ধাবিতে হওয়া টেস্টে এ যাবৎকালের সেরা বোলার আব্বাস। তিনিই প্রথম কোনো টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫১ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন জুনায়েদ খান।
২) পাকিস্তানের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেট নেয়া পঞ্চম পেসার হলেন আব্বাস। তবে তার আগে ওয়াসিম আকরাম ১৯৯০ সালে এমসিজি’তে ১৬০ রান দিয়ে ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন। এই তালিকায় থাকা বাকরিা হলেন ফজল মাহমুদ, ইমরান খান ও সরফরাজ নওয়াজ।
৩) দীর্ঘ ১২ বছর পর পাকিস্তানি পেসার হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন আব্বাস। আবু ধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৯৫ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন আব্বাস। এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ক্যান্ডিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৭১ রানে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ। তারও আগে পাকিস্তানের হয়ে এক টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালে দু’বার এ নজির গড়েন তিনি। ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৮ রানে ১১ ও পেশোয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮০ রানে ১০ উইকেট নেন শোয়েব।