Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ভারতে পেঁয়াজের কেজি দেড় রুপি

peyajঅভিনব প্রযুক্তির সাহায্যে কার্যত কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন ভারতের এক কৃষক। নিজের উদ্ভাবনীর গল্প শুনিয়েছেন খোদ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও। ওবামাও মহারাষ্ট্রের সেই চাষির সাফল্যের কাহিনি শুনে প্রশংসা করেছেন। আবার শিরোনামে মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাসিকের সেই চাষি সঞ্জয় শাঠে।

এবার অবশ্য সাফল্যের গল্প নয়। বরং মহারাষ্ট্রের চাষিদের ভয়ংকর এক দুর্দশার ছবি তুলে ধরে। এ বছর সাড়ে সাত কুইন্টাল পেঁয়াজ কেজি প্রতি দেড় রুপিরও কম দরে বিক্রি করে পেয়েছেন মাত্র ১০৬৪ রুপি। সেই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আট বছর আগে যে মোদি সরকার তাকে বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে সাফল্যের গল্প শুনিয়েছিল, তারই প্রধানমন্ত্রীকে ফসল বিক্রির টাকা পাঠিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করলেন সঞ্জয় শাঠে।

chardike-ad

নাসিকের নিফাদ তহশিলের সম্ভ্রান্ত চাষি সঞ্জয় বলেন, ‘এ বার ফলন ভালোই হয়েছিল। স্থানীয় নিফাদ পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি এক রুপি দর দেয় ব্যাপারীরা। শেষ পর্যন্ত এক রুপি ৪০ পয়সা দরে রফা হয়। ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে হাতে পাই মাত্র ১০৬৪ রুপি।’

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সঞ্জয় বলেন, ‘টানা চার মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রমের দাম এই। এই সামান্য রুপি দিয়ে কি করব? তাই সিদ্ধান্ত নিই, প্রধানমন্ত্রীর বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠিয়ে দিই। মানি অর্ডার করতে খরচ হয়েছে আরও ৫৪ রুপি।’

জানা গেছে, গত ২৯ নভেম্বর নিফাদ পোস্ট অফিস থেকে ওই মানি অর্ডার করা হয়। ঠিকানা ছিল, ‘নরেন্দ্র মোদি, প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়া।’

সঞ্জয় বলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক দল করি না। কিন্তু কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে সরকারের উদাসীনতা ও বিরূপ মনোভাবে আমি হতাশ, ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত।’

ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ পেঁয়াজের উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রের এই নাসিক থেকেই। কিন্তু প্রায় প্রতি বছরই দাম না পেয়ে হতাশ হতে হয় চাষিদের। মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। অথচ সরকার সেসব নিয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভও কম হয়নি।

সৌজন্যে- ঢাকাটাইমস