Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমিরাতে তিনতলা থেকে ছুঁড়ে ফেলা শিশুকে বাঁচালেন বাংলাদেশি

amirat-farukhবিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষের কাছেই বাংলাদেশ সুপরিচিত। কারো কারো জন্য দেশের মানসম্মান নষ্ট হয় আবার কারো কারো কর্মের জন্য বাংলাদেশীর গৌরব মানসম্মান আকাশ ছোয়া হয় যায়। এমনি এক অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী ৫৭ বছর বয়সের ফারুক ইসলাম।

আরব আমিরাতের পত্রিকার শিরোনামে বাংলাদেশি এই ব্যাক্তির ছবি এবং সম্মানের সাথে তার নাম স্পষ্ট করে দিলেন। শত লোকেদের ভিড়ের মধ্যে থেকে একমাত্র তিনিই দৌড়িয়ে গিয়ে জ্বলন্ত বিল্ডিংয়ের তিনতলার জানালা থেকে ফেলে দেওয়া ৩ বছরের শিশুটিকে সাহস করে ধরলেন এবং সফল ভাবে কোন প্রকার আঘাত ছাড়াই বাঁচাতে সক্ষম হলেন। ছেলেটির জীবন রক্ষা করার জন্য মঙ্গলবার আরব আমিরাতের জাতীয় দৈনিক আজমান সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক বাংলাদেশী এই ব্যক্তিকে সম্মানিত করা হয়।

chardike-ad

তিনি বলেন, আমি দূর থেকে দেখছি জ্বলন্ত বিল্ডিংয়ের ধুয়ার মধ্যে থেকে এক মহিলা তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য জানালা দিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে । সেখানে বিশাল মানুষের ভিড় ছিল কিন্তু কেউ তাকে উদ্ধার করার চিন্তা করলো না। কিন্তু আমি আর থাকতে পারলাম না এগিয়ে গেলাম এবং তৃতীয় তলায় থাকা ওই মহিলার দিকে তাকালাম মহিলাও আমার দিকে তাকাল। তারপর বাচ্চাটিকে আমার হাতে ছেড়ে দিল। বাচ্চাটির মা তাকিয়ে দেখলো বাচ্চাটি নিরাপদে রক্ষা পেল।

ফারুক মিয়া খালিজ টাইমসকে আরো জানান, তিনি এক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি একটি মুদি দোকানে কাজ করে। শনিবার রাতে নুয়াইমিয়ায় তিন তলার এই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনটি ভীষণভাবে আগুন লেগে কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। জানালা ছাড়া বের হওয়ার আর কোন উপায় ছিল না। মহিলার স্বামী মোহাম্মাদ সাকিব বলেন, ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তার স্ত্রী রুবেনা বলল যে সে দরজা দিয়ে যেতে পারছে না এবং আগুন ও ভারী ধোঁয়া থেকে বেঁচে থাকবে নিজেকে এবং সন্তানের বাঁচানোর উপায় সম্পর্কে চিন্তা করে জানালা দিয়ে বাচ্চাকে বাঁচিয়ে নিজেরা একটি পার্কিং গাড়ির উপরে লাফিয়ে পরে। তার স্ত্রী গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে আছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে বারান্দায় অবস্থিত মেশিনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটগুলিতে আগুন দেখা দেয়, যার ফলে পুরু ভবনটিতে ধোঁয়া দ্রুত বিস্তার ঘটে।