Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আনন্দ মোহন কলেজে স্ত্রীর পরকীয়া দেখতে এসে বোরকা পরা স্বামী আটক

borkha-hazbendপরীক্ষাকেন্দ্রে স্ত্রীর পরকিয়ার খোঁজ নিয়ে এসে বোরকা পড়া অবস্থায় ছদ্মবেশী স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ মোহন সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শহরজুড়ে হইচই পড়ে গেছে।

পুলিশ জানায়, আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মাস্টার্স মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন বোরকা পড়া অবস্থায় ছদ্মবেশে স্ত্রী জুলেখা খাতুনের (২৫) খোঁজ নিতে আসে স্বামী মাহমুদুল হাসান (২৮)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উচ্চ মাধ্যমিক ভবনে এইচএসসি শিক্ষার্থীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বোরকা ওই ব্যক্তি ঢুকে পড়লে কলেজ কর্মচারীদের সন্দেহ হয় এবং তাকে আটক করেন।

chardike-ad

এসময় মাহমুদুল হাসান জানায়, সাত বছর প্রেম করে জুলেখা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী মোবাইল ফোনে অন্যের সাথে কথা বলায় সন্দেহ হয় তার। এজন্য সোমবার স্ত্রী জুলেখার মাস্টার্সের মৌখিক পরীক্ষা দিতে একসাথে ট্রেনে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে আসেন। স্ত্রীকে আনন্দমোহন কলেজের গেটে দিয়ে যান তিনি। পরে স্ত্রীর পরকীয়ার খোঁজ নেয়ার জন্য বোরকা পড়ে ছদ্মবেশে স্ত্রীর পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ভুল করে উচ্চ মাধ্যমিক ভবনে এইচএসসি শিক্ষার্থীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। সেখানে তার চলাচলে কলেজ কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ বোরকা পরিহিত মাহমুদল হাসানকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।

আনন্দ মোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নুরুল আফসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উচ্চ মাধ্যমিক ভবনে এইচএসসি শিক্ষার্থীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বোরখা পড়া ওই ব্যক্তিকে কলেজ কর্মচারীরা আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাহমুদুল হাসান জানায় তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন মাস্টার্সে ইসলামী শিক্ষায় অধ্যয়নরত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। এব্যাপারে জুলেখাকে জিজ্ঞেসা করা হলে মাহমুদুল হাসান তার স্বামী নয় বলে জানায়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই জনকেই ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক মাহমুদুল হাসানের বাড়ি শেরপুর জেলায়। তিনি জামালপুরের আইবিএ কলেজের করণিক পদে চাকরি করেন।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল জানান, মাহমুদুল হাসান তার স্ত্রীকে সন্দেহ করে বোরখা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের কথা স্বীকার করেছে। জুলেখা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে বলেও তিনি জানান।

সৌজন্যে- নয়া দিগন্ত