Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনে বিনিয়োগ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

indiaবাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আনতে বিনিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতি বছর আবাসিক এবং অবৈতনিক শিক্ষার সুবিধা গ্রহন করতে পারবে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলোর প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং যশোরে শাখা খুলতে চলেছে ভারতের উড়িষ্যার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কিট)’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কিস)।

chardike-ad

গত রোববার কলকাতার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন কিট ও কিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অচ্যুত সামন্ত। তিনি জানান, বাংলাদেশের মাটিতে কিস-এর আবাসিক এবং অবৈতনিক দুটি নতুন শাখা প্রতিষ্ঠান হবে। মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরাই এই দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে। ঢাকার প্রতিষ্ঠানটিতে কেবলমাত্র পড়ার সুযোগ পাবে ছেলেরা এবং যশোরের প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবে মেয়েরা।

প্রাথমিকভাবে দুটি জায়গাতেই প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মাতৃভাষা বাংলাতেই শিক্ষা গ্রহণ করবে।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক সামন্ত। তিনি জানান, ঢাকার ধানমন্ডিতে দুই একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করছে কিস। সেখানে আর্থিক খরচ বহন করবে ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ। আর কারিগরি সহায়তা দেবে কিস।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের যশোরে এনজিও ‘বাঁচতে শেখো’-এর সঙ্গে যৌথভাবে যশোরে পাঁচ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে আরও একটি প্রতিষ্ঠান। যার নাম দেওয়া হয়েছে কিস অ্যাঞ্জেলা গোমস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটির আর্থিক দায়ভার বহন করবে কিস।

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী অচ্যুত সামন্ত। দুটি ক্ষেত্রেই শাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালন পরিষদে থাকবে না কিস-এর কোনও সদস্য। ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদানের কাজে যুক্ত থাকবেন বাংলাদেশের শিক্ষকরাই।

বাংলাদেশের মাটিতে শাখা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কিস এর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমি নিজে খুব গরিব ঘরের সন্তান। তাই শুরু থেকেই গরিবদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে এসেছি। বর্তমানে ভারতে কিস-এর ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-ছাত্রী আবাসিক ও অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ লাভ করেছে। ভারতে কিট এর একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরের পাতিয়া নামক স্থানে।

১৯৯২ সালে অধ্যাপক সামন্ত একক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন কিট। ২০১৭ সালে তৈরি করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিস। বর্তমানে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছে।

অধ্যাপক সামন্ত বলেন, গত দশ বছর ধরে অন্য দেশের পাশাপাশি প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও কিট-এ অধ্যায়ন করতে আসছেন এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বর্তমানে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী এখানে অধ্যায়ন করছেন বলেও জানান তিনি।

সৌজন্যে- বাংলাদেশ জার্নাল