Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বকাপের বাকি আর ১০০ দিন

world-cup-2019ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়োজন ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর শুরু হতে বাকি ঠিক ১০০ দিন। আগামী মে মাসের ৩০ তারিখ ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আজকের তারিখ থেকে ঠিক ১০০ দিন পর খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপের বাকি থাকা এই ১০০ দিন গণনা করতে বিশেষ আয়োজন করছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড এবং আইসিসি। ইংল্যান্ডের রাজধানী শহর লণ্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ ‘নেলসন কলামে’র স্থানে বিশাল আকৃতির ক্রিকেট স্টাম্প রাখা হয়েছে। যাতে গণনা করা হবে বিশ্বকাপের বাকি থাকা ১০০ দিন।

chardike-ad

এরই মধ্যে আইসিসির অফিশিয়াল পার্টনার ‘নিসানে’র মাধ্যমে সারাবিশ্ব ঘুরে বিশ্বকাপ ট্রফি ফেরত এসেছে ইংল্যান্ডে। যা আগামী ১০০ দিনে ঘুরবে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ১১৫টি চিহ্নিত স্থানে। বিশ্বকাপ শুরুর দিন এটি আবার চলে আসবে ট্রাফালগার স্কয়ারে।

এবারের বিশ্বকাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভ এলওয়ার্থি বলেন, ‘বিশ্বকাপের এখন আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার যে ১০০ দিনের কাউন্টডাউন করতে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ট্রাফালগার স্কয়ারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে সারাবিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সবসময় কাজ করবে যে বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই।’

আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন এ বিষয়ে বলেন, ‘একটা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে অনেক বছরের সাধনা এবং শ্রম দিতে হয়। কিন্তু উত্তেজনাটা তখনই টের পাওয়া যায় যখন টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র ১০০ দিন বাকি থাকে এবং ট্রফিটা আয়োজক দেশে চলে আসে।’

এসময় লন্ডনের নেলসন কলামকে কাউন্টডাউনে ব্যবহার করার ব্যাপারে রিচার্ডসন বলেন, ‘লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী নেলসন কলামকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্পে পরিণত করাটা আসলেই দুর্দান্ত একটা ব্যাপার। টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ গণনার জন্য এর চেয়ে সেরা কিছু হতে পারে না। সারাবিশ্বের কোটি-কোটি ভক্তরা অধীর আগ্রহে বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করছে।’

নিসানের সঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফির সারাবিশ্ব ভ্রমণের অ্যাম্বাসেডর ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেট দলের সাবেক অফস্পিনার গ্রায়েম সোয়ান। টুর্নামেন্টের আর মাত্র ১০০ দিন বাকি থাকায় উত্তেজনা ভর করেছে তাকেও। তিনি আশা করছেন বিশ্বকাপের উত্তেজনা ছাড়িয়ে যাবে সবকিছুকে।

সোয়ান বলেন, ‘ট্রফি ট্যুরের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য গর্বের ছিলো। সারাবিশ্বে ট্রফিটা ঘোরানো যাতে করে সবাই অন্তত একনজর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পুরস্কারটা দেখতে পারে। এতে করে সবার মধ্যে আগ্রহ এবং উত্তেজনাও বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্মে স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের আবেদন বেড়ে যায়। আর এ মৌসুমে বিশ্বকাপ থাকায় এটি সবার মনের মধ্যেই জায়গা করে নেবে আমার বিশ্বাস।’

১৯৭৫ সালের পর থেকে প্রতি চার বছর পরপর আয়োজিত হয় বিশ্বকাপের আসর। এখনো পর্যন্ত ১১বার হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দ্বাদশ আসর মাঠে গড়াবে আগামী মে মাসের ৩০ তারিখ থেকে। যা শেষ হবে ১৪ জুলাই, ক্রিকেটের তীর্থ বা ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত (ইংরেজিতে বলে ম্যাক্কা অব ক্রিকেট) লর্ডস স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে।