Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্যক্তিগত কাজের ছুটি যখন টানা তিন মাস!

office-leaveঅফিসে প্রত্যেক কর্মচারীরই কিছু পাওনা ছুটি থাকে। কিন্তু একটা সময়ে তাও যেন কম পড়ে যায়। কিছুতেই কর্মক্ষেত্র আর ব্যক্তিগত জীবনের সমতা করা যায় না। কিন্তু শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই যদি ছুটি ধার্য করে কোন অফিস! তা হলে কেমন হবে?

অস্ট্রেলিয়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি কর্মচারীদের জন্য এমনই ছুটির ব্যবস্থা করতে চলেছে। যার নাম দেয়া হয়েছে লাইফ লিভ। তাও এক-দুইদিনের ছুটি নয়। টানা ৩ মাসের জন্য ছুটি! আর সেই প্রতিষ্ঠানের নাম আর্নেস্ট এন্ড ইয়াং ওসিয়ানিয়া। অস্ট্রেলিয়ার এই প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মীদের জন্য এমন ছুটি আনতে চলেছে।

chardike-ad

এই ছুটি দুই রকম ভাবে নিতে পারবেন কর্মীরা। এক, একেবারে তিন মাসের ছুটিতে চলে যাওয়া এবং দুই, দু ধাপে দেড় মাস করেও এই ছুটি নেয়া যাবে। প্রতি বছর তিন মাস করে এই লাইফ লিভ-এর সুবিধা পাবেন সব কর্মচারী।

ছুটিকে কর্মচারীরা কী ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই অফিসের। অর্থাৎ ছুটি নিয়ে আপনি বেড়াতে গেলেন, না তিন মাসের কোনো কোর্স করলেন, নাকি পার্ট টাইম চাকরি করলেন, তা দেখতেও যাবে না অফিস।

যারা ছুটি নিতে চান না তাদের কথাও ভেবেছেন কর্তৃপক্ষ। ছুটির বদলে প্রয়োজনে তারা এই তিন মাস নিজেদের কাজের সময় কমিয়ে আনতে পারেন। যেমন, সন্তানরা যে সময়টা স্কুলে থাকবে, প্রয়োজনে বাবা-মায়েরা শুধু সে সময়টুকু কাজ করলেন। বাকিটা সময় সন্তানদের সঙ্গে কাটালেন। অর্থাৎ যার যেমন প্রয়োজন, তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।

কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিল ওই প্রতিষ্ঠানটি? তার উত্তর এই বিষয়টি নিয়ে তারা একটি জরিপ করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, কাজের চাপ কমলে কর্মক্ষেত্রে একজন কর্মচারীর কাজের প্রতি উৎসাহ ১১ শতাংশ বেড়ে যায়।

ছুটি থেকে ফিরে আরো মনোযোগ সহকারে কাজ করা যায়। তার পারফরম্যান্স অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাতে প্রতিষ্ঠানের উন্নতিও হবে।