প্রায় তিন মাসের লম্বা সফরে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আর এই সময়ে ক্রিকেটারদের মসজিদে নামাজ আদায় থেকে শুরু করে টিম হোটেল এবং অনুশীলনের মাঠের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে আইসিসি ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিস্কার ধারণা চেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। এ ব্যাপারে সাড়াও দিয়েছে আইসিসি।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাথে এখনো কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালক আকরাম খান। দেশের পাশাপাশি বিদেশিও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করে থাকেন। কিন্তু ক্রাইষ্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর নামজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, নামাজের বিষয়টি আমরা আইসিসিকে অবশ্যই জানাবো। এবং নামাজের সাথে সাথে আমাদের দল যেখানে যাবে, খেতে যাবে-আসবে সেটাও আমরা আলোচনা করবো।
প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিদেশির মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েছিলো নিউজিল্যান্ডে। কিন্তু শেষ টেস্টের আগে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে তামিম-মুশফিকদের।
এমনিতেই টেস্ট খেলার সুযোগ কম পায় বাংলাদেশ। তার ওপর ক্রাইষ্টচার্চের ঐ ঘটনায় কারণে যাতে একটি টেস্ট হারিয়ে না যায়। সে ব্যাপারে সচেতন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে দুই বোর্ডের মাঝে এ ব্যাপারে টেবিলের আলোচনা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
আকরাম খান বলেন, আমরা এখনো কথা বলিনি। আমি মনে করি এখনি কথা বলা ঠিক না। তবে আমরা একটা টেস্ট পাওনা রইলাম।আইসিসি’র ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বা এফটিপি অনুযায়ী ২০২০ সালের আগষ্টে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড তাদের পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হবে। সূচি অনুযায়ী দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে কিউইদের। আর ঐ সময়ে পাওনা টেস্ট যোগ করার পরিকল্পনা আছে বিসিবি’র।