সেই ছোট্টবেলায়ই অনেক জনপ্রিয়তা আর ভালোবাসা পেয়েছেন দীঘি। একটি বিজ্ঞাপন হঠাৎ করেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল তাকে। ‘বাবা জানো, আমাদের একটা ময়না পাখি আছে না? সে আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে, আর এ কথাটা না মা কিছুতেই বিশ্বাস করছে না। আমি কী তাহলে ভুল শুনেছি, কেমন লাগে বলো তো?’ এই সংলাপ এখনো কানে লেগে আছে অনেকের।
সেই ছোট্ট দীঘি আর ছোট্ট নেই। মাধ্যমিকের চৌকাঠ পার করলো সে। এবার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এই ক্ষুদে তারকা। সোমবার ফলাফল এলো। জানা গেল, চলতি বছরের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অভিনেত্রী দীঘি ‘এ-মাইনাস’ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সোমবার দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর খবরটি জানিয়েছেন তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বড়ুয়া।
সুব্রত বলেন, ‘দীঘি স্ট্যামফোর্ড স্কুল ও কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। আশানুরূপ ফলাফল হয়নি তার। জিপিএ-৩.৬১ পেয়েছে সে। তারপরও এতেই আমরা খুশি। সামনে ভালো কলেজে ভর্তির চেষ্টা থাকবে।’
সুব্রত জানালেন, দীঘি তার ফলাফলে খুশি হতে পারেনি। আশা ছিল আরও ভালো কিছু হবে। তাই মন খারাপ করেই বসে আছে। প্রতিটি বিষয়ে ভালোই করেছে, তবে একটি বিষয়ে ফলাফল কিছুটা খারাপ হওয়ায় পয়েন্ট কমে গেছে।
চলচ্চিত্র পরিবারের সন্তান দীঘি। তার বাবা সুব্রত বড়ুয়া ও মা প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দোয়েলের একমাত্র মেয়ে। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন।
কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’ তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই ২০০৬ সালে ‘শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এরপর দাদীমা, চাচ্চু, বাবা আমার বাবা, ১ টাকার বউ ও অবুঝ শিশুর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক মনে জায়গা করে নেন।