Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইসলাম গ্রহণ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের ওমরাহ পালন

rikardoমাত্র কয়েকদিন আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সার্জিও রিকার্দো। ইসলাম গ্রহণের পর ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ঘোষণাও দিয়েছেন। এবার রমজান উপলক্ষে তিনি পবিত্র মক্কা শরিফে গিয়ে ওমরাহ পালন করেছেন। খবর স্টেফ ফিডের।

ওমরাহ পালন করে তিনি একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ… নাও আই অ্যাম এ মুসলিম’ বা ‘আলহামদুলিল্লাহ… এখন আমি একজন মুসলিম’। পাশাপাশি একটি ভিডিওও পোস্ট করেছেন রিকার্দো। তাতে পবিত্র মসজিদুল হারামে সউদী আরবের বিখ্যাত শ্বেত-শুভ্র পোশাকে দেখা গেছে তাকে।

chardike-ad

ওমরাহ আদায়ের পর পবিত্র কাবাঘরের সামনে এক ভিডিওতে তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। প্রথম বারের মতো বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর জিয়ারত করে কেমন সুখানুভূতি কাজ করছে তার বর্ণনা দিয়েছেন।

ইসলাম গ্রহণের পর পবিত্র ওমরাহ পালন ও ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলো পরিদর্শন করায় মুগ্ধ লাখ লাখ মানুষ। তারা রিকার্দোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছেন। তারা কামনা করছেন, পবিত্র জীবনে এমন চমৎকার অভিষেক যেন তার সারা জীবনে শান্তি-সুখ ও সমৃদ্ধির ছোঁয়া নিয়ে আসে এবং একজন মুসলিম হিসেবে তার জীবনযাত্রা সৌভাগ্যের পরশে স্নিগ্ধ হোক।

বুধবার (২২ মে) সউদী ফুটবলার মোহাম্মদ সাঈদ একটি ভিডিও প্রকাশে করেছেন। ভিডিওটিতে রিকার্দো একজন মুসলিম ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘আলহামদুলিল্লাহ… আমি মনে করি, আপনি জানেন যে এটি আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।’

ব্রাজিলিয়ান এ তারকা খেলোয়াড় ২০১০ সালে অবসরের পর মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ক্লাবে খেলছিলেন। তখন সেখানে ইসলাম সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন। এরপর অনুপ্রাণিত হয়ে শান্তির এ ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

৪৫ বছর বয়সী এ তারকা ভিটোরিয়া এবং বোটাফোগো ছাড়াও ব্রাজিলিয়ান অন্যতম সেরা ক্লাব করিন্থিয়ান্স ও ভাস্কো দা গামায় খেলেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি জেদ্দার আল-ইত্তিহাদ ক্লাবের মতো সউদীর প্রাচীনতম ক্লাবে খেলেন। ক্লাবটির ৩৩টি দেশীয় ও মহাদেশীয় ট্রফি রয়েছে। একমাত্র এশিয়ান ক্লাব হিসেবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে।

ব্রাজিলিয়ান এ মুসলিম তারকা আল-ইত্তিহাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আল-আহলিদের জন্যও খেলেছিলেন। এ ক্লাবটি ১৯৬৮ সালের এক মৌসুমেই দুটি জাতীয় শিরোপা, লিগ এবং কিং কাপ অর্জনকারী প্রথম সউদী ক্লাব ছিল।

আল-ইত্তিহাদের জাতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াদ-ভিত্তিক আল-হিলালেও দুই বছর খেলেছিলেন। ক্লাবটি ৫৮ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে। যা অন্য কোনো সউদী ক্লাবের পক্ষে সম্ভব হয়নি। আল-হিলাল রেকর্ড ৬টি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ট্রফিও জিতেছে। ২০০৯ সালে ক্লাবটি আইএফএফএইচএসের বিংশ শতাব্দীর সেরা এশিয়ান ক্লাব ভূষিত হয়েছিল। ২০০৩-২০০৪ মৌসুমে রিকার্দো সউদী প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ গোলদাতা (১৫ গোল) ছিলেন।