Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্রাচে মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ!

mahmudullahবিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলছেন কাঁধের চোট নিয়ে। নিউজিল্যান্ড সফরে পাওয়া সেই চোটের কারণে একটি বারের জন্যও হাত ছোঁয়াতে পারেননি বলেও। তবুও দলের ভরসা হয়ে ব্যাট হাতে নেমেছেন নিয়মিত, প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই সাহায্য করেছেন মিডল অর্ডারের ধ্বস কাটিয়ে উঠতে। মোটা টেপ পেঁচানো কাঁধে দায়িত্ব নিতে পারছেন না বলে ‘ভর’ সইছেন দু’পায়ে। সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই পড়ে গেছেন পায়ের চোটে!

গতপরশু সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় পায়ের পেশিতে টান লেগেছিল মাহমুদউল্লাহর। দৌড়ে প্রতিটি রান নেওয়ার সময়ই খোঁড়াতে দেখা যাচ্ছিল তাকে। এভাবেই অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গ দিয়ে করেন ৩৮ বলে ২৭ রান। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময় মাহমুদউল্লাহ ছিলেন মাঠের বাইরেই। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, ফিল্ডিং করার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। ম্যাচ শেষে তার স্ক্যান করানো হয়। তবে সেই রিপোর্ট বলছে, মাহমুদউল্লাহর চোট তেমন গুরুতর নয়। টাইগার অলরাউন্ডারের চোটের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ দলের ফিজিও থিলান চন্দ্রমোহন বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ পায়ের পেশিতে (কাফ মাসল) অল্প মাত্রার (গ্রেড-১) চোট পেয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আসন্ন ম্যাচে তাকে পাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা আগামী কয়েকদিন তার শারীরিক উন্নতিটা পর্যবেক্ষণ করব।’

chardike-ad

mahmudullahগতকাল সকালে আবারও জেঁকে বসেছিল সেই শঙ্কা। মাহমুদউল্লাহ টিম হোটেল থেকে যখন বের হলেন ক্রাচে ভর দিয়ে। ছেলে রায়িদকে পাশে নিয়ে আস্তে আস্তে উঠলেন টিম বাসে। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক ও ম্যানেজারের বিশ্বাস, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া যাবে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে।

আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। আগামী ২ জুলাই এজবাস্টনে বিরাট কোহলিদের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তার আগে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় থাকায় এই অফ স্পিনারের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলেই বার্মিংহামের পথে রওনা দেবার আগে জানালেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ, ‘ওর চোট সেরে ওঠার মতো। এখনও সাত দিন সময় আছে। ফিজিও চেষ্টা করবেন ওকে যতটা সম্ভব সারিয়ে তোলার। যদিও এখন ফিফটি-ফিফটি অবস্থা, এখনই বলা কঠিন। তবে আমরা আশা করি তাকে পাব। ওর মতো ক্রিকেটার এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দরকার আছে।’

ম্যানেজারের চেয়ে আশার জোর বেশি অধিনায়কের কণ্ঠে। মাশরাফি বিন মুর্তজা সেই বিশ্বাসটা পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে কথা বলেই, ‘স্ক্যানের রিপোর্ট দেখার পর ফিজিও যখন বলেছেন যে অন্তত ৭ থেকে ১০ দিনের বিশ্রাম, তখনই রিয়াদ বলেছে যে ভারতের বিপক্ষে সে খেলবেই। অবস্থা যেমনই হোক। আশা করি, সাত দিনে অনেকটা ঠিক হয়ে উঠবে। কালকে (আফগানিস্তান ম্যাচে) পায়ের ওই অবস্থায়ই রিয়াদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়েছে মুশফিকের সঙ্গে। যতটা সম্ভব দ্রত রান নিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভারতের বিপক্ষে খেলার সামান্য সুযোগ থাকলেও সে খেলবে। মানসিক জোর যেহেতু আছে, শারীরিক কিছু ঘাটতি থেকে গেলেও পুষিয়ে নিতে পারবে।’