Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাটার জাদুতে ৩১৫ রানের টার্গেট পেল বংলাদেশ

mustafizভয়ংকর রোহিত শর্মার ক্যাচ তামিম ইকবাল ছাড়ার পর ম্যাচের অর্ধেক সময় পর্যন্ত মনে হয়েছিল ৪শ করতে পারে ভারত! ১৮০ রানের ওপেনিং জুটি সৌম্য সরকার ভাঙার পর দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ভারতের রান উৎসবে ভাটা পড়ে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা মুস্তাফিজুর রহমান তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৩১৪ রান। এই বিশ্বকাপেই তিনশতাধিক রান চেজ করে জিতেছে বাংলাদেশ। সুতরাং ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও টার্গেট আজ টাইগারদের নাগালে। এখন ব্যাটসম্যানদের পালা।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের হয়ে বোলিং উদ্বোধন করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুজনের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ৬ষ্ঠ ওভারে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে বিধ্বংসী ওপেনার রোহিত শর্মার দেওয়া সহজ একটা ক্যাচ হাতছাড়া করেন ভালো ফিল্ডার বলে পরিচিত তামিম ইকবাল! রোহিত তখন ৯ রানে ব্যাট করছিলেন। জীবন পেয়ে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে হাত খুলে মারতে থাকেন রোহিত।

chardike-ad

১০৫ বলে উদ্বোধনী জুটির রান একশ ছাড়িয়ে যায়। ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ‘হিটম্যান’ রোহিত। এরপর ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লোকেশ রাহুল। হাফ সেঞ্চুরির পর রোহিত আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। ক্যারিয়ারের ২৬তম এবং চলতি বিশ্বকাপে চার নম্বর সেঞ্চুরি তুলে নিতে রোহিত খেলেন ৯০ বল; হাঁকান ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কা। ৩০তম ওভারে অবশেষে এই বিধ্বংসী ওপেনারকে ১০৪ রানে লিটন দাসের তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। ভাঙে ১৮০ রানের ওপেনিং জুটি।

১৫ রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সাফল্য পায় বাংলাদেশ। রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি হন অপর ওপেনার লোকেশ রাহুল (৭৭)। এরপরই ভারতের ব্যাটিং দূর্গে জোড়া আঘাত হানেন ‘কাটার মাস্টার’। ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজের কাটারে মিডউইকেটে রুবেলের তালুবন্দি হন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (২৬)। এক বল পরেই ওয়াইড স্লিপে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হন হার্দিক পাণ্ডিয়া (০)। চার নম্বরে নেমে হাত খুলে খেলছিলেন ঋষভ পন্ট। ৪১ বলে ৪৮ করে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন। ব্যকওয়ার্ড স্কয়ারলেগের সীমানার ওপর থেকে দুই দফার চেষ্টায় সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

২৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর রান এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধোনি আর দিনেশ কার্তিক। কিন্তু অভিজ্ঞ কার্তিককে (৮) নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন দ্য ফিজ। এই তারকা পেসারের চতুর্থ শিকার মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩৫)। শেষ ওভারে মুস্তাফিজের বলে রান-আউট হয়ে যান ভুববনেশ্বর কুমার (২)। শেষ বলে শামিকে (১) বোল্ড করে বিশ্বকাপে প্রথমবার পাঁচ উইকেট শিকার করেন দ্য ফিজ।