“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” [সূরা আন-নূর ৩০-৩১]
অশ্লীলতাকে আল্লাহ খুনের চেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অশালীন পোশাক, নগ্নতা, পর্নোগ্রাফী, অশ্লীলতা তথা লজ্জাহীনতা ধর্ষণ ও ব্যভিচার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শয়তানের কাজই হলো হালালকে কঠিন করে হারামকে সহজ হিসেবে উপস্থাপন করা। ধর্ষণ-ব্যভিচার আজ সহজ আর বিয়ে অনেক কঠিন!
“তুমি বল, এসো আমিই তোমাদের বলে দেই তোমাদের মালিক কোন কোন জিনিস তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন, তোমরা তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবে না, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, দারিদ্রতার ভয়ে কখনো তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না; কেননা আমিই তোমাদের ও তাদের উভয়েরই আহার যোগাই, প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে হোক তোমরা অশ্লীলতার কাছেও যেয়ো না, আল্লাহ তা’আলা যে জীবনকে মর্যাদাবান করেছেন তাকে কখনো যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে হত্যা করো না এ হচ্ছে তোমাদের (জন্যে কতিপয় নির্দেশ),
আল্লাহ তা’আলা এর মাধ্যমে তোমাদের আদেশ দিয়েছেন, এগুলো যেন তোমরা মেনে চলো, আশা করা যায় তোমরা অনুধাবন করতে পারবে।”
সূরা আল আন’আম ০৬ ; ১৫১
আল্লাহ যা বলেছেন সত্য বলেছেন।