Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
kohli
ফাইল ছবি

আবারও আইন অমান্য করলেন বিরাট কোহলি। খেলোয়ড়দের জন্য তৈরি আচরণবিধি ভঙ্গ করে আবারও ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন ভারতীয় অধিনায়ক। পাশাপাশি আইসিসি ভৎসনাও করেছে তাকে। রান নিতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার বিউরন হেনড্রিক্সের সঙ্গে কাঁধের ধাক্কা লাগান কোহলি। এটাই চোখে পড়েছে আইসিসির এবং ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করার পাশাপাশি সতর্কও করে দিলো তাকে।

সোমবার আইসিসি’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেয়া হয়, ‘বিরাট কোহলি আইসিসি-র ২.১২ ধারায় খেলোয়াড়দের কোড অব কনডাক্ট লঙ্ঘন করেছেন। খেলোয়াড়, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে অসঙ্গত শারীরিক সংঘর্ষ করলে দোষি সাব্যস্ত হয়। এর ফলে কোহলির একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার শৃঙ্খলাভঙ্গের রেকর্ডে। এ নিয়ে ২০১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সংশোধিত কোড চালু হওয়ার পর থেকে তিনবার শৃঙ্খলা ভাঙলেন কোহলি।’

chardike-ad

চিন্নাস্বামীতে ব্যাটিং করার সময় রান নিতে গিয়ে প্রোটিয়া বোলার বিউরন হেনড্রিক্সের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান কোহলি। হেনড্রিক্স বল করার পর বিরাট সেটাকে ডিপ মিডউইকেটে খেলেন। এরপর রান নিয়ে গিয়ে প্রোটিয়া পেসারকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারেন তিনি। ফলে উইকেটের ওপরই পড়ে যান হেনড্রিকস। ম্যাচের পর রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে দোষ স্বীকারও করেছেন কোহলি।

এ নিয়ে বিরাটের নামে মোট তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। প্রথম ডেমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় গত বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে। দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে। আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারেন কোহলি।

ব্যাঙ্গালুরুতে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান তোলে বিরাট কোহলির দল।

জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬.৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কুইন্টন ডি’কক। অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দেন রিজা হেনড্রিক্স ও টেম্বা বাভুমা। ২৩ বলে ২৭ রান করেন বাভুমা। ডি’কক ৫২ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ ওভারে ১৪ রানে দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন হেনড্রিক্স। তবে সিরিজ সেরা হয়েছেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন কুইন্টন ডি’কক।