২০১৮ সালে ব্রিস্টলে নাইটক্লাবের সামনে মারামারির ঘটনা বেন স্টোকসের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটাই শেষ করতে বসেছিল। ওই মামলার ঘানি টানতে টানতে জীবনটা রীতিমত বিষাদময় হয়ে পড়েছিল ইংলিশ অলরাউন্ডারের।
শেষ পর্যন্ত ওই ঝামেলা কেটেছে। ইংল্যান্ড দলে ফিরে জাতীয় বীরও বনে গেছেন স্টোকস। প্রথমবারের মতো ইংলিশদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ছিলেন তিনিই।
এমন সুসময়ে কি আরও একবার কলঙ্কের দাগ পড়তে যাচ্ছে স্টোকসের জীবনে? এবার যে তার বিরুদ্ধে ওঠলো গুরুতর ও ঘৃণ্য এক অভিযোগ, ইংলিশ অলরাউন্ডার নাকি মারধর করেছেন নিজের স্ত্রীকে।
স্টোকস আর তার স্ত্রীর ছড়িয়ে পড়া এক ছবি নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে গিয়েছিলেন স্টোকস।
গত ২ অক্টোবর ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি ছড়িয়ে দেয় ব্রিটিশ-আইরিশ ওয়েবসাইট ‘গুইদো ফকস’। যেখানে দেখা যায়, ঠিক মার দেয়ার ভঙ্গিতে স্ত্রীর গলা এক হাত দিয়ে চেপে ধরে আছেন স্টোকস। তার স্ত্রী ক্লারে স্টোকসও বাঁচার চেষ্টায় তার হাত দিয়ে স্বামীর হাত সরানোর চেষ্টা করছেন।
ওই ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পরই গুঞ্জন ওঠে, বদরাগী স্টোকস এবার স্ত্রীর গায়েও হাত তুলেছেন। স্বভাবতই আরও একটি শাস্তির প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। তবে এমন এক ছবি নিয়ে উল্টো কথাই বললেন স্টোকসের স্ত্রী ক্লারে। যারা এই ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের ওপর খেপেছেন স্টোকস পত্নী। বলেছেন- ননসেন্স।
ক্লারের দাবি, এটা নিছকই মজা ছিল। মাঝেমধ্যে স্বামীর মুখে চেপে ধরে এমন মজা করেন তিনিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনই একটি ছবি পোস্ট করে স্টার্ক পত্নী লিখেন, ‘গর্দভ লোকেরা কি বানিয়েছে দেখে আসলেই বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি আর বেন একজন আরেকজনের মুখে এমন করে চেপে ধরি অনেক সময়। এটা আমাদের ভালোবাসা। অথচ পাপারাজ্জিরা এটাকে মজার গল্প বানিয়ে ছাড়লো! এই ঘটনার ২০ মিনিট পর কিন্তু আমরা বেশ রোমান্টিকভাবেই ম্যাকডোনাল্ডসে খেতে গিয়েছিলাম।’