বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে’র ইচ্ছা ছিল ম্যাচটি জয়ের। তবে সেটা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন তিনি। কারণ কাতারের মতো দলের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা করাটা বোকামিই বলতে গেলে। তবুও জেমি’র ইচ্ছা ছিল ভালো ফুটবল খেলা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে সত্যিই ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। দিনে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাঠ কিছুটা ভারী ছিল। যে কারণে কাতারের ফুটবলাররা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। এ সুযোগে নিজেদের প্রকাশের সুযোগ পেয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলো না। দুটি গোল হজম করতেই হলো। ভালো খেলেও আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ২-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশের ফুটবলারদের।
ম্যাচের শুরুতে আধাঘণ্টা কাতারের আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু ২৮ মিনিটের মাথায় আবদুর ইসাগের দুর্দান্ত শটে প্রথমবারের মতো পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ।
গোল হজম করার পর সেটা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বেশকিছু সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু যে মাঠে খেলে অভ্যস্ত জীবন-বিপলুরা, সে মাঠে এলোমেলো শটের খেসারত দিতে হলো গোল না পেয়ে। কাতারের পোস্টের সামনে গিয়েই কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। যে কারণে দারুণ কিছু সুযোগ পাওয়ার পরও সঠিক শট নিতে না পারার কারণে সাফল্যও ধরা দেয়নি।
ম্যাচের ইনজুরি সময়ে গোল হজম করা বাংলাদেশের পুরনো দিনের অভ্যাস। সেটা আজ আবারও ফিরে এলো। ইনজুরি সময়ে (৯০+১) আবারও গোল হজম করে বাংলাদেশ। এবার গোলটা পুরোপুরি ডিফেন্ডারদের গাফিলতির কারণে এলো। বক্সে জটলা বেঁধে যায়।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের উপস্থিতি সেখানে। তবুও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি তারা। শেষ মুহূর্তে বউদিয়াফের নিচু শটে বল জড়িয়ে যায় বাংলাদেশের জালে। ব্যবধান দাঁড়িয়ে গেল ২-০ গোলের। এরপর তো জয় দূরে থাক, ড্র করার চিন্তাও করার উপায় ছিল না এবং শেষ পর্যন্ত হলোও না। ২-০ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।