Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত বাউন্ডারি নিয়ম বাতিল করল আইসিসি

super-overবিশ্বকাপের সেই আলোচিত ফাইনালে না হেরেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। বাউন্ডারি গণনার অদ্ভূত এক নিয়মের কারণে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকার আইসিসি। এই অদ্ভূত নিয়ম নিয়ে ক্রিকেটের মূল স্পিরিটকেই ধ্বংস করা হলো বলে মনে করেন অনেকেই।

এবার আইসিসিরও বোধগম্য হলো, বাউন্ডারি গণনার এই অদ্ভূত নিয়ম আসলে ক্রিকেটের মূল স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। ফলে, এই নিয়ম আর রাখা যাবে না। সুতরাং, আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে ঠিক করা হলো, বাউন্ডারি গণনার এই অদ্ভূত নিয়ম আর রাখা হবে না। বাতিল করা হবে। এরপরই আইসিসির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়াকে জানিয়ে দেয়া হয় বাউন্ডারি গণনার নিয়মটি বাতিল করা হলো।

১৫ জুলাই বিশ্বকাপের সেই আলোচিত ফাইনালে মূল স্কোর সমান হয়ে যাওয়ার পর খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও ম্যাচ হয় টাই। এরপরই অদ্ভূত বাউন্ডারি গণনার নিয়মটা প্রয়োগ করা হয়। যেখানে বাউন্ডারি বেশি মারার কারণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড।

সোমবার দুবাইয়ে আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ের পরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাটি জানিয়েছে, এবার থেকে আইসিসি পরিচালিত কোনও টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারি মারার গণনা করে বিজয়ী দল বাছাই করা হবে না। মূল স্কোর সমান হয়ে গেলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। সেখানেও যদি টাই হয়, তাহলে আবারও সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে জয়ী নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত টাইব্রেক চলতে থাকবে।

বোর্ড মিটিংয়ের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ মেনে সুপার ওভার রেখে দেওয়া হচ্ছে টাইব্রেকারের মাধ্যম হিসেবে; কিন্তু একটা পরিবর্তন করা হচ্ছে। আইসিসি আয়োজিত কোনও টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে যদি সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়, তা হলে ম্যাচও টাই হবে। আর সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভার টাই হলে আবার একটা সুপার ওভার হবে। এভাবে চলতে থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও একটা দল সুপার ওভারে বেশি রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email