সিউল, ১৫ মে ২০১৪:
দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে অদূরে গত মাসের ফেরি ডুবির ঘটনায় বড় ধরনের গাফিলতির মাধ্যমে নরহত্যার দায়ে বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেনসহ ফেরির চার ক্রুকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, দোষী সাব্যস্ত হলে সেওল ফেরির ক্যাপ্টেন লি জুন-সিয়োক, দুই নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলী মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারেন।
জাহাজটি যখন ডুবছিল তখন তারা যাত্রীদের স্থান ত্যাগ না করতে বলে নিজেরা জাহাজ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। যাত্রীদের অধিকাংশই ছিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এরা ফেরিতে করে শিক্ষা সফরে বেরিয়েছিল। অভিযুক্ত চারজন ফেরির অপর নিম্ন পদস্থ ১১ ক্রুর সঙ্গে সর্বপ্রথম নিরাপদে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ডুবন্ত ফেরিটিতে কয়েকশ যাত্রী আটকা পড়া অবস্থায়ই তারা সেখান থেকে সটকে পড়েন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দৈনিক মুনহোওয়া ইলবো জানিয়েছে, অভিযুক্ত চারজন যাত্রীদের ফেরী থেকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশনা দিতে শুধু ব্যর্থই হননি বরং একটি উদ্ধারকারী নৌযান সেখানে এসে পৌঁছানোর কথা তারা যাত্রীদের জানান নি। পত্রিকাটি আরো জানায়, তারা তাদের ইউনিফরম পাল্টে বেসামরিক পোশাক পড়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন। তারা জানতেন যে কোন জাহাজ বিপদে পড়লে ইউনিফরমধারী ক্রুদের সবার শেষে বের হওয়া উচিত। এমনকি যাত্রীদের জাহাজ থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য সহায়তা করতে সমুদ্র নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেও তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হওয়ার ঘটনা খুবই কম। সর্বশেষ দেশটিতে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হবার পর স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়। বর্তমানে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া লোকের সংখ্যা ৬০।
ফেরির অপর ১১ ক্রুর বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।