সিউল, ১৭ জুন ২০১৪:
বিদ্যুৎ, গ্যাস, নগর পরিসেবা, বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি অবকাঠামো খাতের ৫ প্রকল্পে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগি সংস্থা (জাইকা) বাংলাদেশকে ১১৮ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ৯ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে।
এ লক্ষে সোমবার ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে জাইকা প্রধান মাইকিও হাতাওদা ঋণ চুক্তিসমূহে স্বাক্ষর করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত আকিহিকো মিনামী, জাইকা প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভবনাময় দেশ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নমূখী কর্মকান্ড এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসূচকে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। তবে এখানে বড় সমস্যা হলো সূশাসনের অভাব। এ সমস্যা না থাকলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ থেকে ৮ শতাংশ হারে অর্জিত হতো। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অর্থমন্ত্রীর মতে বাংলাদেশের আর একটি বড় সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের অভাব। এজন্য কেবলমাত্র দেশের বাইরে জনশক্তি রফতানি করলে হবে না, দেশের মধ্যেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ক্ষেত্রে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প আজ চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আগামী ৪ বছরের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ করতে তিনি জাইকার সহযোগিতা চান।
উল্লেখ্য, জাইকার সাথে চুক্তি হওয়া ৫ প্রকল্প হচ্ছে- ৩ হাজার ১৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবারী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, এক হাজার ৭৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস সক্ষমতা প্রকল্প, ২ হাজার ৩৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইনক্লুসিভ সিটি গভার্নেন্স প্রকল্প, এক হাজার ১৬০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হাওড় বণ্যা ব্যবস্থাপনা এবং জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৭৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প।
বার্ষিক শুন্য দশমিক শুন্য শতাংশ সুদহারে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য।