
আইজিপি বাহারুল আলমক
২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়ীদের তালিকায় বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের নাম ওঠায় তাকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি পাঠিয়েছে ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এই চিঠি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড জাতীয় জীবনের এক করুণতম অধ্যায়; যেখানে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও বহু সদস্য নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনা এখনও বিচার প্রত্যাশার অমোচনীয় স্মৃতি বহন করছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে আইজিপি বাহারুল আলমের নাম ওঠায় ন্যায়বিচার, জনআস্থা এবং বিচার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন কর্মকর্তার নাম এমন এক রাষ্ট্রদ্রোহী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে আসা ঘটনার সংবেদনশীলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাউন্সিলের মতে, অভিযোগ বা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোনো কর্মকর্তা যদি পদে বহাল থাকেন, তাহলে অপরাধ বিচারের স্বচ্ছতা ও জনবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিঠিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, দুর্নীতি দমন এবং রাষ্ট্রে আস্থা পুনর্গঠন। কিন্তু একজন উচ্চপদস্থ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টে নাম আসার পরও দায়িত্বে বহাল থাকা জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে।
চিঠিতে তিনটি দাবির বিষয় উল্লেখ করা হয়-
১. বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্ত রিপোর্টে নাম আসায় আইজিপি বাহারুল আলমকে অবিলম্বে পদ থেকে অব্যাহতি বা বরখাস্ত করা।
২. পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার ভূমিকা ও দায় নিরূপণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
৩. স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী- অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ, অ্যাডভোকেট শাহিন হোসেন ও অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমান।




































