বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রাজধানী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
শেয়ার

ঐতিহ্য সুরক্ষায় ইউনেস্কোর বিশেষ রোডম্যাপ


UNESCO

প্রস্তাবিত এই জাতীয় কর্মপরিকল্পনাটি সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সৃজনশীল শিল্পখাতের সুরক্ষা এবং যেকোনো সংকটকালীন পরিস্থিতিতে এই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছে ইউনেস্কো।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গুলশানের জাতিসংঘ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই কর্মপরিকল্পনার উদ্বোধন করা হয়। ইউনেস্কোর ‘হেরিটেজ এমার্জেন্সি ফান্ড’ (এইচইএফ)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য জরুরি মুহূর্ত ও দুর্যোগকালীন সময়ে দেশের সাংস্কৃতিক খাতের প্রস্তুতি ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা।

​অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুসান ভাইজ বলেন, একটি জাতির আত্মপরিচয় ও সহনশীলতার মূলে থাকে তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনেস্কো বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ এবং জ্ঞানভিত্তিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে, যা ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

​ঢাকায় ইতালির দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. ফেদেরিকো জামপ্যারেল্লি তার বক্তব্যে শিল্পী ও কারুশিল্পীদের জীবনমান উন্নয়নের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, অনেক ঐতিহ্যবাহী শিল্প বিলুপ্তির পথে কারণ এগুলোর কারিগররা আর্থিকভাবে টিকে থাকতে পারছেন না। তাই কেবল স্থাপনা রক্ষা নয়, বরং এই ঐতিহ্যের ধারক মানুষদের সহায়তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

​ইউনেস্কো ঢাকার সংস্কৃতি প্রধান কিযী তাহনিন জানান, প্রস্তাবিত এই জাতীয় কর্মপরিকল্পনাটি সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহ্যের তাৎক্ষণিক পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় জোরদারের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।

​অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী জয়া আহসান।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ঐতিহ্য ও সৃজনশীলতা মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। যেকোনো সংকটের পর ঘুরে দাঁড়াতে হলে সাংস্কৃতিক প্রকাশগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

​প্রদর্শনীতে সম্প্রতি ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী শাড়িসহ পুরান ঢাকার নানা ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলো আলোকচিত্র ও ভিডিওর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।