উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাহিদা কমার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সোমবার ব্যারেল প্রতি ৫০ মার্কিন ডলারের নিচে চলে গিয়েছিল। তবে দিন শেষে সে দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৫০.০৫ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়।
সোমবার বিবিসির এক খবরে জানানো হয়, ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসের পর এই প্রথম ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের এই তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলারের নিচে পৌঁছায়। আর ব্রেন্ট ক্রুড (অপরিশোধিত) তেলের দাম ৬ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয় ৫৩ মার্কিন ডলারে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৪ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে অপরিশোধিত ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেলের দাম অর্ধেকের বেশি নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ বৃদ্ধি এবং চাহিদা কমার কারণে দাম আরও পড়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তেলের উৎপাদন বেড়েছে। অন্যদিকে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির তুলনায় চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে অনেক দেশ। ওপেকের তেলের উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তও বিনিয়োগকারীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, তেলের দাম টানা কমতে থাকায় গত কয়েক মাসে বিপি, এক্সন মবিলের মতো বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম পড়ে গেছে।