২০১৪ সালের ১৭ জুন। বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা। তাসকিন আহমেদ নামে ১৯ বছর বয়সী এক পেসারের অভিষেক হলো। প্রথম ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে জানান দিলেন নিজের পরিচয়।
তারপর সোজা বিশ্বকাপ। এখানেও সফল। পাঁচ ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে অপেক্ষা করছেন কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য।
অপেক্ষা? তাই বটে! স্থান কাল আলাদা হলেও, পাত্র যে সেই ভারত। ওই ম্যাচটিতে হারলেও, প্রতিশোধের সুযোগটা এসেছে এবার। লক্ষ্য একটাই, ম্যাচ জেতানো। নিজেদের শেষ ম্যাচে ভালো খেলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেটা হয়নি বাংলাদেশের। এমনকি জ্বলে উঠতে পারেননি তাসকিনও। উইকেট শুন্য থাকার কারণেই কি না ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে অনেক বেশী সিরিয়াস ১৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের(ভারত) বিপক্ষে আমরা শতভাগ দেব। সবচেয়ে বড় কথা, জয়ের জন্যেই আমরা মাঠে নামবো।’ কিন্তু তাসকিনের আগ্রহটা যে অন্যখানে! ভারতের প্রতি তার একটি দুর্বলতা রয়েছে।
কারণ, এই দলের বিপক্ষে যে তার অভিষেক হয়েছিলো। তাই পুরনো শত্রুকে কাছে পেয়ে ছেড়ে দিতে একেবারেই নারাজ মাশরাফি বিন মুর্তজার এই যোগ্য উত্তরসূরি। জানালেন, সুযোগ পেলে ‘ম্যাচ-উইনার’ হতে চান।
তাসকিন বলেন, ‘আমি যদি খেলার সুযোগ পাই। আমি অবশ্যই দেশের জন্য আমার সেরাটা দিয়ে খেলবো। আমি চেস্টা করবো ম্যাচ জেতানোর।’ নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাসকিন একাই পাঁচজন ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন। তাই ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তার মাঠে নামাটা জরুরীই বটে!