১১ বছর পর আবার টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে হাবিবুল বাশারের দলের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছিল রিকি পন্টিংয়ের অসি বাহিনী। সেটাই শেষ। এরপর দুই দেশ আর কখনো কোথাও টেস্টে মুখোমুখি হয়নি। প্রায় এক যুগ পর বহু কাঙ্খিত সিরিজ আবার দ্বারপ্রান্তে।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের উৎসাহের কমতি নেই। ২৭ আগস্ট শেরে বাংলায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এ টেস্টে সম্ভবত একটি নতুন রেকর্ড তৈরি হতে যাচ্ছে।
এই ম্যাচে দু দলের হয়ে ১১ + ১১ = যে ২২ জন ক্রিকেটার অংশ নেবেন- তারা কেউই এর আগে টেস্টে একে অপরের সাথে প্রতিদ্বদ্বীতা করেনি। কি করে করবেন? দুই দলে যারা আছেন, তারা কেউই ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার শেষ টেস্ট সিরিজ খেলেননি।
তার মানে তামিম, সাকিব, মুশফিকদের মতো স্মিথ, ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল কিংবা হ্যাজলউডরা প্রথমবার বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট খেলতে নামবেন। এদিকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার এ টেস্ট সিরিজে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সামনে রয়েছে এক অন্যরকম সাফল্যের হাতছানি।
এক কথায় এক দুর্লভ কৃতিত্বের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব। দুই ম্যাচের কোন এক ইনিংসে পাঁচটি কিংবা তার বেশি উইকেট পেলেই সাকিবের সাফল্যের ডানায় আরও একটি হিরক খচিত পালক যুক্ত হয়ে যাবে।
তখন শ্রীলঙ্কার বিশ্বসেরা অফস্পিনার মুত্তিয়া মুরলিধরন, দক্ষিণ আফ্রিকার তুখোর ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন কিংবা লঙ্কান বাঁ-হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে বিশ্বের সব কয়টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টেস্টে অন্তত একবার করে হলেও ৫ উইকেট শিকারের অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী হবেন সাকিব।
এ দুই ম্যাচে সাকিব বা বাংলাদেশের বোলাররা কতবার বোলিংয়ের সুযোগ পাবেন? তা নির্ভর করছে আবহাওয়া-প্রকৃতি আর অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের ওপর। বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ালে ভিন্ন কথা। তখন খেলার ভাগ্যই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আর বৃষ্টির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে খেলা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হলে সাকিবের সাফল্য পাবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। তারপরও অজিরা খুব বেশি ভাল ব্যাটিং করে ফেললে আবার সে সম্ভাবনার পথ হবে সঙ্কুচিত।
এমনিতে খেলা ঠিকমত হলে আর সাকিব তথা বাংলাদেশের বোলাররা ভাল বোলিং করতে পারলে হয়ত অজিরা চারবার ব্যাটিংয়ে নামবে। তাতে করে সাকিব বেশিবার বোলিং করার সুযোগ পাবেন। চার ইনিংস যদি নাও হয় অন্তত- তিনবার বোলিং করার সুযোগ পেলেও নিশ্চয়ই সাকিব প্রাণপন চেষ্টা করবেন এক ইনিংসে হলেও পাঁচ বা তার বেশি উইকেট দখল করতে।
তাহলেই সাফল্যের সিড়ি বেঁয়ে আরও একধাপ ওপরে উঠে যাবেন বাংলাদেশের সব সময়ের সেরা এই পারফরমার।