Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ

team-bdস্পিনার নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারল না জিম্বাবুয়ে। সেই সঙ্গে যোগ হলো তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত দলীয় পারফরম্যান্সে ভর করে জিম্বাবুয়েকে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। এই নিয়ে টানা ৬ টেস্ট এবং দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর জয়ের দেখা পেল টাইগাররা।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এই মিরপুরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানেই এসেছিল সর্বশেষ জয়। এর মধ্যে আফগানদের মতো নবীন দলের বিপক্ষেও হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। ফলে এবারের জয়টি টাইগারদের জন্য তৃপ্তির উপলক্ষ হয়েই এলো।

chardike-ad

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে দিনের শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। দিনের শুরুতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। আগের দিনের অপরাজিত থাকা কেভিন কাসুজাকে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচে পরিণত করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

লাঞ্চে যাওয়ার আগে সফরকারী দলনেতা ক্রেইগ আরভিনকে রান আউটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ৪৯ বলে ৪৩ করেন আরভিন। দলীয় ৪৪ রানে নাঈম হাসানের আঘাতে ব্র্যান্ডন টেইলরকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ৪৭ বলে ১৭ রান করা টেইলরকে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে ফেরান নাঈম।

লাঞ্চ থেকে ফিরে সিকান্দার রাজাকে মাঠ ছাড়া করান তাইজুল ইসলাম। ৭১ বলে ৩৭ রানে করা রাজা তুলে মারতে গেলে শটে থাকা মুশফিকুর রহিম দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে তাকে বিদায় করেন। কার্যত সেখানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের সব প্রতিরোধ। এরপর ১৮ রান করে তাইজুলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন রাগিস চাকাভা।

চাকাভার বিদায়ের পর ৫ রান যোগ হতেই আইন্সলে এনলভোকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাঈম। এরপর নাঈমের বলে গলার কাঁটা হয়ে থাকা মারুমার (৪১) তুলে মারা শট দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন তামিম। আর এরই মাধ্যমে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার কীর্তি গড়লেন তরুণ নাঈম। এরপর চার্লটনকে বিদায় করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাইজুল।

বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট মিলিয়ে বাংলাদেশের নাঈম দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫২ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। এই তরুণ স্পিনারের এটা ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

জিম্বাবুয়ে এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয়। তবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ভর করে রান পাহাড় গড়ে। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। পরে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫৬০/৬ (ডিক্লেঃ) (মুশফিক ২০৩, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১, লিটন ৫৩; এনলভু ১৭০/২)।

জিম্বাবুয়ে: ২৬৫ ও ১৮৯ (আরভিন ৪৩, মারুমা ৪১; নাঈম ৮৩/৫, তাইজুল ৭৮/৪)

ফলাফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: মুশফিকুর রহিম।