ঘোষণার পরেই রোকনপুর গ্রামে ব্যাপক সাড়া পড়ে। শিশু-কিশোরদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ে। এর পর থেকে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে স্থানীয় শিশু-কিশোররা। এতে ৪৩ জন শিশু-কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয় মুসল্লিরা।
স্থানীয় মুসল্লি মোঃ কামরুল হোসেন জানান, মসজিদ কমিটির এমন উদ্যোগে নামাজের প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহ বেড়েছে। এমন উদ্যোগ প্রতিটি পাড়ায়-পাড়ায়, গ্রামে-গ্রামে হলে তরুণরা মসজিদমুখী হবে। এতে করে তরুণরা অসামাজিক কার্যকলাপ করার আগ্রহ হারাবে। আমাদের সমাজ পরিবর্তনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
মসজিদ কমিটি এ ঘোষণা দেয় গত ১ জানুয়ারি। ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার রাতে পুরস্কার প্রদান করেন মসজিদ কমিটি। এতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করায় ১৬ জনকে বাইসাইকেল, ১৪ জনকে স্কুল ব্যাগ ও ১৩ জনকে জ্যামিতি বক্স পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান মারুফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন হযরত মাওলানা মাহবুবুর রহমান আল মাদানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবুল কাশেম নোমান পাটওয়ারী ও ওই মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুর রহমানসহ স্থানীয় মুসল্লীগণ।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান মারুফ জানান, আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করা। তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও উৎসাহ প্রদান করার জন্য এ কার্যক্রম। ১ মার্চ থেকে আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।