Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

scanerযাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার ভেঙে গেছে। সোমবার (৯ মার্চ) রাতে থার্মাল স্ক্যানারটি নষ্ট হয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা কর্মকর্তাদের পাঠালে এটি ঠিক করা হবে। এখন একটি থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডসহ ছয় দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের শরীরে এ ভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া গেলেই তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে- এমন নির্দেশনার পর শাহজালালে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে গেছে। আর এ কারণেই সোমবার রাত ভিড়ের চাপে একটি থার্মাল স্ক্যানার ভেঙে যায়। বাকি চারটি দেশ হলো-চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান।

chardike-ad

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শাহজালালে মোট তিনটি থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে। এর মধ্যে একটি আগে থেকেই নষ্ট আছে। সোমবার আরেকটি নষ্ট হলো। এখন একটি দিয়ে কাজ চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার সময় অনেককেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। যাত্রীরা অধৈর্য হয়ে স্ক্যানারটির ওপর হুমড়ে পড়লে সেটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে আর কাজ করেনি সেটি। হাতের মেশিন দিয়ে তাপমাত্রা দেখা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ জানান, ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অবতরণের পর ‘হেলথ ডিক্লারেশন’ ফরম দেয়া হচ্ছে, এখানে তাদের শারীরিক বিষয়সহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য তথ্য কার্ড দেয়া হচ্ছে।

বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় যদি যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকে, তাহলে তাকে সরাসরি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।