Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সাকিব না তামিম, আজকের দিনে কে ছিল এগিয়ে?

অন্যান্য যেকোনো ম্যাচের তুলনায় কোয়ালিফায়ার-২ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাকিব তামিমের আরও একবার মুখোমুখি ব্যাট বলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল ক্রিকেটপ্রমীরা।

এবারের বিপিএল আসরের শুরুতেই সাকিব তার প্রথম মিডিয়া কনফারেন্সে বলেছিল, রংপুর এসেছে চ্যাম্পিয়ন হতে। রংপুর শুরু থেকে ছিল টেবিল টপার, আর বরিশাল প্লে অফে উঠবে নাকি বাদ পড়বে সেই দোলাচলে রান রেটের হিসেব কষছিল তারা। তবে ভাগ্যর নির্মম পরিহাস। সেই রংপুর হেরে বিপিএল থেকক বিদায় হলো বরিশালের কাছে। এবারের মতো সমাপ্ত হলো সাকিব তামিম দ্বৈরথ অধ্যায়।

chardike-ad

অন্যান্য যেকোনো ম্যাচের তুলনায় কোয়ালিফায়ার-২ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাকিব তামিমের আরও একবার মুখোমুখি ব্যাট বলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল ক্রিকেটপ্রমীরা। বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকের মতো এখানেও সাকিব তামিম ভক্তে ভাগ হয়ে যায় দেশ। কে জেতে, কে হারে তার থেকেও বড় প্রশ্ন, সাকিব না তামিম, কে ছাড়িয়ে যাবে একে অপরকে। তবে দর্শকদের আশায় সেগুঁড়ে বালি। সাকিব, তামিম কেওই এদিনে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তামিম মোটে ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। আর সাকিবের ইনিংস থামে ১ রানে। বল হাতেও মলিন সাকিব। ১ ওভার ৩ বল করে হজম করেছেন ১৭ রান, পাননি উইকেট।

শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের ক্যাপ্টেন খান। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফুদ্দিন একে একে তুলে নেন মাহেদি এবং সাকিবের উইকেট। ব্যর্ত আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। মিডল অর্ডারে জিমি নিশাম দলের হাল ধরলেও ইনিংসটা বড় করতে পারেনি। নিকোলাস পুরান, মোহাম্মদ নবি, নুরুল হাসান সোহানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। শেষ দিকে শামীম পাটোয়ারীর বিধ্বংসী ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে রংপুর পাশ ১৪৯ রানের পুঁজি।

এদিনে বরিশালের বোলাররা ছিলেন অনবদ্য। জেমস ফুলার ৩টি উইকেট নিয়ে ধ্বসিয়ে দেন রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপ। সাথে সাইফুদ্দিন ২টি এবং কাইল মায়ার্স, মেহেদি মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। পাওয়ারপ্লে ফুরাবার আগেই দুই ওপেনার সাজঘরে। সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম মিলে জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেন। সৌম্য ২২ করে ফিরে গেলে মুশি টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যান। মায়ার্সও বেশিক্ষণ তার সঙ্গ দিতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ডেভিড মিলারকে সাথে নিয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয়ের লঞ্চ ঘাটে ভিড়ায় বরিশাল।

বল হাতে বরিশালকে চাপে রাখতে পারেনি রংপুরের বোলাররা। আবু হায়দার রনি ২টি, ফজল হক ফরুকি এবং মোহাম্মদ নবি ১টি করে উইকেট পেলেও বাকিরা ছিলেন উইকেটশূন্য।