তাইওয়ানের ওপর শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করার মতো কোনও প্রতিশ্রুতি দেবে না চীন। দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে সর্বশেষ চীনা যুদ্ধ মহড়া পরিচালনার পর বুধবার (১৬ আগস্ট) দেশটির তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে। বহিরাগত হস্তক্ষেপ ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি ছোট সংখ্যালঘুর গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করা হবে এই শক্তি প্রয়োগ।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে চীন। সোমবার দ্বীপের চারপাশে একটি বড় ধরনের মহড়া করেছে দেশটি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গত সপ্তাহের জাতীয় দিবসের বক্তৃতার পরে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের’ বিরুদ্ধে একটি সতর্কবাণী ছিল এই মহড়া।
চীনের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র চেন বিনহুয়া বেইজিংয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের সম্ভাবনার প্রচেষ্টা করতে ইচ্ছুক।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা কখনই শক্তি প্রয়োগ ত্যাগ করতে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করব না।’
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রসঙ্গ টেনে চেন বলেছিলেন, তবে এটি ‘বহিরাগত শক্তির’ হস্তক্ষেপের লক্ষ্যে এবং তাইওয়ানের নাগরিকদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নয় বরং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খুব কম সংখ্যকের জন্য।
বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাইওয়ানের সরকার বলেছে, শুধু দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।