Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আলোর স্বল্পতায় খেলা আগেভাগে শেষ, দিনটি ছিল বাংলাদেশের

বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় পুরোপুরি খেলা হয়নি তৃতীয় দিন। মাঠে গড়িয়েছে ৫৭.৫ ওভার। তার পরেও মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় দারুণ একটি দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সকালের শুরুতে জয়, মুশফিক ও লিটনের বিদায়ে জেগেছিল ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায়। ১০১ রানে পিছিয়ে দিন শুরু করলেও সেই শঙ্কা দূরে ঠেলে বাংলাদেশ লিডের পথে এগিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ দৃঢ়তায়। জাকের আলীকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েছেন। অভিষিক্ত জাকের আলী ৫৮ রানে ফিরলে নাঈমকে নিয়ে আবার প্রতিরোধ গড়েছেন তিনি। মাঝে একবার বৃষ্টিতে ঘণ্টাখানেকের মতো নষ্ট হয়েছে। পরে শেষ দিকে আলোর স্বল্পতায় ম্যাচই শুরু করা যায়নি। তার আগে বাংলাদেশ ৮১ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। মিরাজ ক্রিজে আছেন ৮৭ রানে। নাঈম ব্যাট করছেন ১৬ রানে। এই জুটি এখনও অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানে।

chardike-ad

তৃতীয় সেশন শুরুর পর আলো কম থাকায় স্পিনারদের দিয়েই বল করতে বাধ্য হয় প্রোটিয়ারা। ৫ ওভার খেলা হলেও আলোর স্বল্পতায় আবার বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। তার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৮১ রানের। জাকের আলী ফিরলেও অষ্টম উইকেটে জুটি গড়ে খেলছেন নাঈম হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা অবিচ্ছিন্ন আছেন ৩৩ রানে।

বৃষ্টি ও ভেজা মাঠের কারণে এক ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনের খেলা। চা বিরতিও নেওয়া হয়েছে বৃষ্টির মাঝে। আম্পায়ারদের মাঠ পর্যবেক্ষণের পর খেলা শুরু হয়েছে দুপুর ৩টায়।

 

সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা ছিল। দ্বিতীয় সেশনে ৮০তম ওভার শেষ হতেই মিরপুরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তাই খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে। কভার দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে উইকেট। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান। স্বাগতিকদের লিড ৬৫ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭* রানে ব্যাট করছেন। সঙ্গে আছেন নাঈম হাসান ১২*।

জাকের আলীকে ফিরিয়ে একই ওভারে নতুন ব্যাটার নাঈম হাসানকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছিলেন মহারাজ। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলেছিলেন। তখন রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন নাঈম।

প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এর পর লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড শতরান ছাড়ানো জুটিতে দলকে লিডের পথে তুলেছেন তারা। ১৩৮ রানের সেই জুটি ভেঙেছে জাকের আলীর বিদায়ে। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। জাকের রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। অভিষেক টেস্টে ফিফটি পাওয়া জাকির ১১১ বলে ৫৮ রানে আউট হয়েছেন। তাতে ছিল ৭টি চারের মার।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর শতরান ছাড়ানো জুটি প্রোটিয়াদের ওপর কর্তৃত্ব অব্যাহত রেখেছে। জাকের আলী অভিষেক টেস্টে দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। তিনি ১০২ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন।

তৃতীয় দিনে সকালের শুরুতে জয়, মুশফিক ও লিটনের দ্রুত বিদায়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চাপে পড়ে যাওয়া মুহূর্তেই লড়াকু এক ফিফটিতে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলীর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে উপহার দেন রেকর্ড জুটি। ৮৯ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন তারা। তাদের ব্যাটিংয়েই সব শঙ্কা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন লিড নেওয়ার কাছে। লাঞ্চে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। বাংলাদেশ পিছিয়ে মাত্র ১ রানে। জাকের আলী অপরাজিত আছেন ৩০* রানে, মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করছেন ৫৫* রানে।

ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের নবম ফিফটিতে সপ্তম উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে গড়েছেন প্রতিরোধ। উপহার দিয়েছে রেকর্ড জুটি। মিরাজ ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৯৪ বলে।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে): বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ ওভারে ২৮৩/৭, বাংলাদেশের লিড ৮১ রান (নাঈম ১৬*, মিরাজ ৮৭*; সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩৩, জয় ৪০, লিটন ৭, জাকের ৫৮)

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮.৪ ওভারে ৩০৮/১০, লিড ২০২ (রাবাদা ২*; মারক্রাম ৬, স্টাবস ২৩, বেডিংহ্যাম ১১, ডি জর্জি ৩০, ব্রিটজকে ০, রিকেলটন ২৭, মুল্ডার ৫৪, মহারাজ ০, পিয়েট ৩২, ভেরেইন ১১৪)