আমানত ও ঋণে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদেন বলা হয়, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এপ্রিল থেকে জুনে নারীদের আমানতের হার বেড়েছে চার দশমিক ৮১ শতাংশ। ঋণের পরিমাণ কমেছে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন মাসের এজেন্ট ব্যাংকিং পরিসংখ্যানেও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নিতে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
এতে দেখা যায়, বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মোট আমানতের ৪৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ নারী, ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ পুরুষ ও বাকি এক দশমিক ৫৫ শতাংশ আসে ‘অন্যান্য’ থেকে।
নারীর সম্পৃক্ততা বেড়ে যাওয়া দেশের ব্যাংকিং খাতে আর্থিক ক্ষমতায়ন ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক প্রবণতা।
বর্তমানে দেশে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, ২১ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আট ইসলামী ব্যাংকের সমন্বয়ে ৩১ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৯৯১ এজেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত ২১ হাজার ৪৭৩ আউটলেট ছিল। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন দশমিক শূন্য নয় শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে।
তবে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। ত্রৈমাসিক হিসাবে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হিসাবধারীর সার্বিক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজারে পৌঁছেছে। আমানত হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৯৮ হাজার ১৩৬ লাখ টাকা।
অ্যাকাউন্ট সংখ্যা এক বছরে বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আমানত বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি যথাক্রমে চার দশমিক ৬২ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণের সংখ্যা ও মোট বকেয়া ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশে ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমানত ও ঋণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ ও ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এপ্রিল-জুনে বেড়েছে যথাক্রমে চার দশমিক ৮২ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ।