ব্লিঙ্কেনের দ. কোরিয়া সফরের সময় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উ. কোরিয়া

 

chardike-ad

 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সাগরে নিক্ষিপ্ত এই অস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোকের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের সাক্ষাতের কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে (আন্তর্জাতিক সময় ৩টা) পূর্ব দিক লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অটল নিরাপত্তা অঙ্গীকার ও উত্তর কোরিয়ার উসকানির বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরক্ষা বজায় রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে ব্লিঙ্কেন ও সাং-মোকের মধ্যে।
গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে ১৪ ডিসেম্বর অভিশংসিত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন চোই সাং-মোক।

এর ঠিক দুমাস আগে গত ৫ নভেম্বর অন্তত সাতটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল পিয়ংইয়ং। মাঝের দিনগুলোয় বিরতি দিয়ে ব্লিঙ্কেনের সফরের সময়ই আবার ক্ষমতা প্রদর্শন করলো তারা।

উৎক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকৃতি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে উত্তর কোরিয়ার গত বছরের আইআরবিএম পরীক্ষায় কঠিন-জ্বালানি ও হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল সম্বলিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি সত্যি হলে, এই ক্ষেপণাস্ত্র অন্য দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

সব পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রেই কঠিন জ্বালানি ব্যবহারের পথে রয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা হলো, উৎক্ষেপণের ঠিক আগে আগে ক্ষেপণাস্ত্রে জ্বালানি পোরার প্রয়োজনীয়তা নেই। এছাড়া, এগুলো তরল জ্বালানি সম্বলিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি টেকসই, প্রতিপক্ষের রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম, অপারেট করা তুলনামূলক সহজ।