বিশ্বকাপের ব্যর্থতায় কোচ আলবার্তো জাকেরোনি পদত্যাগ করার পরে জাপানের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেক্সিকান জেভিয়ার আগুইরে।
জাপান ফুটবল এসোসিয়েশনের (জেএফএ) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিরোমি হারা গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা তার সাথে সমঝোতায় এসেছি এবং কার্যনির্বাহী বোর্ড তার নিয়োগ অনুমোদন করেছে।
৫৫ বছর বয়সী আগুইরের অধীনে মেক্সিকো ২০০২ এবং ২০১০ বিশ্বকাপের শেষ ১৬তে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। জাপানের সাথে নতুন এই চুক্তিতে তিনি বছরে প্রায় ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। জাকেরোনির আয়ের থেকে যা প্রায় দ্বিগুন। জাপান ফুটবল এসোসিয়েশন এর আগে কখনই কোন কোচকে এত বিপুল পরিমান অর্থের বেতন দেয়নি।
গণমাধ্যম সূত্রমতে, খুব শিগগিরই সাবেক এই এস্পানেয়ল ম্যানেজার জাপানে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে জাপানের হয়ে তার অভিষেক হবে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর রয়েছে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পরেই ইতালিয়ান কোচ জাকেরোনি জাপান দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়ান। বিশ্বকাপে গ্র“প পর্বে আইভরি কোস্ট ও কলম্বিয়ার কাছে পরাজিত এশিয়ান জায়ান্টরা ১০ জনের গ্রীসের সাথে গোলশুন্য ড্র করে দু:খজনক বিদায় নেয়। ব্রাজিলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের এই হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে জেএফএ নড়েচড়ে বসে। জাকেরোনির কৌশল ও দল নির্বাচন নিয়ে ব্যপক সমালোচনা হয়। অথচ ২০১১ সালের এই জাকেরোনির অধীনেই জাপান রেকর্ড চতুর্থবারের মত এশিয়ান কাপের শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখায়। কিন্তু বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষদের শারিরীক দক্ষতার কাছে সামুরাইদের বেশ দূর্বল মনে হয়েছে। এর আগে ২০০২ সালে ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপে ফ্রেঞ্চম্যান ফিলিপ ট্রুসিয়ারের অধীনে জাপান প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু তারপর থেকে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে তাদের পারফরমেন্সের পারদ নীচের দিকে নামতে থাকে। ব্রাজিলিয়ান জিকোর অধীনে ২০০৬ সালে জার্মান বিশ্বকাপে জাপানকে নিয়ে প্রত্যাশাটা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু স্বর্ণযুগের প্রজন্ম হিসেবে খ্যাত ঐ দলটিও ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। ঐ আসরের পরেই তারকা খেলোয়াড় হিদেতোশি নাকাতা আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন।