রবিবার । জুন ১৫, ২০২৫ । ১১:৪০ অপরাহ্ন
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ২১ মে ২০২৫, ৪:৪১ অপরাহ্ন
শেয়ার

‘রাখাইনে অস্থিতিশীলতা ও মানবিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়’


'রাখাইনে অস্থিতিশীলতা ও মানবিক সংকটের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়'

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রাখাইনে বর্তমান অস্থিতিশীলতা ও চলমান মানবিক সংকটের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়।

আজ (২১ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। আর কোনো রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাত কবলিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিতে একটি মানবিক করিডোর স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

গত ৪ মে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ হয়ে জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো চুক্তি বা সমঝোতা করেনি বলে জানিয়েছিলেন ড. খলিলুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে কোনো পক্ষের সঙ্গে কোনো সমঝোতাও হয়নি।’

রাখাইনে মানবিক করিডর বিষয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা মানবিক করিডর নয়। তারা রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চ্যানেলের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আর মানবিক করিডর ও চ্যানেল এক নয়। এমন কোনো চ্যানেল হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেটি পরিচালিত হওয়ার কথা। এর মাধ্যমে ত্রাণ ও খাদ্য যাবে।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করে। দেশটিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।’

রোহিঙ্গাদের ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা অবশ্যই ফিরে যাবে। এটা সহজ না হলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।’

খলিলুর রহমান বলেন, মানবিক করিডোরের নামে মিয়ানমারে আমেরিকার হয়ে বাংলাদেশ কোনো প্রক্সিযুদ্ধ চালাচ্ছে—এটা একেবারেই অপতথ‍্য, গুজব।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের একত্রীকরণ, নয় বরং প্রত‍্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই মৃতপ্রায় বিষয়টিকে বিশ্বের কাছে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছে।