মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির সময় তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক ঐতিহাসিক রায়ে আজহারুল ইসলামকে সকল অভিযোগ থেকে খালাস দেন। গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয়টি ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে যে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছিল, তা বাতিল করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ। সর্বসম্মত এ রায়ে ছয় বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো আপিল শুনানি শেষে আজহারুলের খালাস হয়।
এই রায় বাংলাদেশের বিচার ইতিহাসে নজিরবিহীন, কারণ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কোনো আসামি সম্পূর্ণ খালাস পেলেন।
আজহারুল ইসলাম ২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন। তিনি তখন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রথম দফায় ২০১৯ সালে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, দ্বিতীয় দফা আপিলে এই রায় উল্টে যায়। সরকার পরিবর্তনের পর গত বছরের আগস্টে আজহারুল দ্বিতীয়বারের মতো আপিল করেন।
খালাসের রায় ঘোষণার পর দুপুরেই আপিল বিভাগের বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মুক্তির প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়া হয়।
আজহারুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মুক্তির দিন সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।