Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাসপোর্ট তৈরিতে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

পাসপোর্ট নিতে গিয়ে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার  ৩৩টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রদান কর্মকাণ্ডের উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট একটি অতি প্রয়োজনীয় দলিল। তাই আমি পাসপোর্ট নিতে এসে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

pm_ganabhabanপ্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩৩টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সংসদ সদস্য, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। এমআরপি প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেদওয়ান প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

chardike-ad

সংশ্লিষ্ট সূত্রসমূহ বলছে, ৩৩টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও নওগাঁ এখন থেকে এমআরপি প্রদান করতে পারবে। বাকি ২৮টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস শিগগিরই এমআরপি প্রদান শুরু করতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশে এমআরপি চালুর পটভূমি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “যে আধুনিক প্রযুক্তি এক সময় অনেকের কাছে কল্পনা বিষয় ছিল তাঁর সরকার সে প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে। এক সময় এমআরপি চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ পেছনে পড়ে থাকতে পারে বলে আমরা শঙ্কিত ছিলাম। কারণ ৮০ থেকে ৯০ লাখ বাংলাদেশী বিদেশে বসবাস করছে। পাশাপাশি প্রতিদিন বহু লোক বিভিন্ন কাজে বিদেশ যাচ্ছে এবং তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “এ সমস্যা সমাধানে তাঁর সরকার আগের মেয়াদে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণ যাতে এমআরপি পায় সেজন্য সেনাবাহিনীকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।”

সর্বস্তরে ডিজিটাল কর্মসূচি ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাঁর সরকার এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের জীবনযাপন সহজ করে দিয়েছে। প্রতিটি খাতে ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের কারণে জনগণ এখন ঘরে বসে সবকিছু পাচ্ছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “পাসপোর্ট প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এমআরপির মধ্যে ইতোমধ্যে একটি সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরফলে এমআরপি প্রদান এখন সহজ হবে। কেননা এতে জাতীয় পরিচয় পত্র পেশ করতে হবে। এতে করে জাতীয় পরিচয় পত্রের সফটওয়্যার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ সহজ হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এমআরপি ফি জমা দেয়ার জন্য অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে, যাতে সাধারণ জনগণ সহজে তাদের ঘরে বসে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারে।”

জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা এবং জাতিকে আধুনিক, বিজ্ঞান এবং কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতাসহ সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য এমনটা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সবিচ ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও মাহবুবুল হক শাকিল উপস্থিত ছিলেন।

লক্ষ্মীপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামাল, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নোমান, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জামাল হোসেন, জেলা প্রশাসক একেএম টিপু সুলতান, পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম আলাউদ্দিন।