জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাতটার দিকে অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে তিনি আত্মহননের চেষ্টা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জ্ঞান ফিরেছে।
খবরে প্রকাশ, নেত্রকোনো শহরের গারা এলাকায় ন্যান্সির নিজের দুই তলা বাসা রয়েছে। ওই বাসায় নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কেউ না থাকলেও মাঝে মাঝে ন্যান্সি সেখানে আসেন। শুক্রবার তিনি ঢাকা থেকে ওই বাসায় আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশিরা। তাকে ওই অবস্থায় নেত্রকোনো জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। নেত্রকোনো হাসপাতাল কর্তপক্ষ ও নার্সরা জানায়, ন্যান্সি অতিরিক্তি ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়া হয়।
জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পীর আত্মহত্যা চেষ্টার খবরে ময়মনসিংহ মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ভিড় জমায় স্থানীয় সাংবাদিক ও উৎসুক জনতা। মেডিকেলের জরুরি বিভাগের গেটে ভিড় দেখে ন্যান্সিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি গতিপথ পরিবর্তন করে মেডিকেলের কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেই গেটটি বন্ধ দেখে ফের জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় ন্যান্সির কোনো স্বজন বা চিকিৎসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “ন্যান্সি তাকে বলেছেন, তিনি দুপুর ১টার দিকে ব্রোমাজিপাম গ্রুপের ৪০টি জিওনিল ট্যাবলেট খান। ঘণ্টাখানেক পর আরও ২০টি ল্যাক্সিল খান।” ন্যান্সির বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান, “এ ধরনের ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশ করতে হয়। ঝুঁকি থাকে ৪-৫ ঘণ্টা পর্যন্ত। সময় বেশি গড়িয়ে যাওয়ায় ওয়াশও করা হয়নি, আর তিনি যেহেতু এতটা সময় ওভারকাম করে ফেলেছেন সেহেতু আর আপাতত ঝুঁকি নেই।”
ডা. জাকির আরও জানান, ন্যান্সির এখন পুরোপুরি জ্ঞান আছে। তিনি কথাও বলতে পারছেন। তবে চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব দেখা যাচ্ছে। ন্যান্সিকে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ২৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে এবং ইনডোর ম্যানেজমেন্ট বিভাগ তার দেখাশোনা করবে বলেও জানান ডাক্তার।
– See more at: http://www.dhakatimes24.com/2014/08/16/34051#sthash.EAzdknXA.dpuf