দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল ফ্রন্ট ইউনিটের একজন কর্পোরাল কর্তৃক নিম্নপদস্থ এক সৈনিককে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা খিয়ংগি প্রদেশের গভর্নর ন্যাম কুং-পিলের জ্যেষ্ঠ পুত্র। কোরিয়ার সামরিক পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।

খবরে প্রকাশ, খিয়ংগির পুচ্ছনে ষষ্ঠ পদাতিক ডিভিশনের প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস (পিএফসি) পদমর্যাদার ওই সৈনিককে কর্তব্য ও প্রশিক্ষণে অবহেলার অভিযোগ তুলে চিবুক ও পেটে প্রহার করা হত। গভর্নরপুত্রের এহেন নির্যাতন গত এপ্রিলে শুরু হয়ে চলেছে এই আগস্ট পর্যন্ত।

chardike-ad

এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে পিএফসি পদমর্যাদার আরও একজন সৈনিককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে সেটা স্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, “এটা ছিল নিছক মজা মাত্র!”

সেনাবাহিনী বলছে গত এপ্রিলে পাঁচজন জ্যেষ্ঠ সেনাসদস্যের শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে ইয়ুন নামের একজন পিএফসি সৈনিকের মৃত্যুর জের ধরে দেশব্যাপী সংস্থাটির সকল স্তরে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই বেরিয়ে আসে গভর্নরপুত্রের এসব ‘কীর্তি’।

Korean_governor_gionggi
সুওনের প্রাদেশিক সরকারি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই মাথা নুয়ে ছেলের অপরাধের জন্য ক্ষমা চান গভর্নর ন্যাম কুং-পিল। ছবিঃ ইয়নহাপ নিউজ।

এদিকে পুত্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পরপরই গভর্নর ন্যাম নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন। সামাজিক গণমাধ্যমটিতে প্রকাশ করা বার্তায় তিনি লিখেন, “আমার পুত্রের নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিগণ ও তাঁদের পরিবারের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।” গভর্নর বলেন, “তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আমার ছেলে যথাযথ শাস্তিই পাবে।”

একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজের সন্তানকে ‘সঠিক শিক্ষা’ দিতে না পারার দায় তিনি নিজেও এড়াতে পারেন না বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

ন্যাম গত ৪ঠা জুন ক্ষমতাসীন সেনুরি পার্টির মনোনয়ন নিয়ে খিয়ংগির গভর্নর নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পাঁচ দফায় আইনপ্রণেতা হিসেবে প্রদেশের সুওন জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন।