২০০ বছর ধরে গোপনীয়তা বজায় রাখার পর বৈদেশিক চাপে পড়ে সুইজারল্যান্ডের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় দুই ব্যাংক লোমবার্ড ওডিয়ার ও পিকটেট চলতি মাসে তাদের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করবে। খবর ব্লুমবার্গ।
জেনেভাভিত্তিক ব্যাংক দুটি ১৭৯৬ সাল থেকে তাদের আর্থিক তথ্য অপ্রকাশিত রেখেছে। এখন বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে তারা আর্থিক তথ্য প্রকাশে বাধ্য হচ্ছে। খবর আরটি।
জেনেভার সবচেয়ে পুরনো সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান লোমবার্ড চলতি মাসের ২৮ তারিখে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। পিকটেটও এ মাসের শেষে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে, এ দুটি ব্যাংকে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রায় ৬৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে।
আমেরিকান নাগরিকদের কর ফাঁকি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ পিকটেটসহ বেশ কয়েকটি সুইস ব্যাংকের ওপর তদন্ত করছে। তবে লোমবার্ড ওডিয়ার স্বেচ্ছায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ে রাজি হয়েছে।
অনেক দেনদরবারের পর গত বছর সুইজারল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্থিক তথ্য বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে। বর্তমানে কর ফাঁকির বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ক বেশ নাজুক। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক ব্যবস্থায় অধিক স্বচ্ছতা আনার দাবি জানিয়ে আসছে।
ইন্টারন্যাশনাল রেভেনিউ সার্ভিসের (আইআরএস) কাছ থেকে আমেরিকানদের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার লুকাতে সাহায্যের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি ব্যাংক ওয়েগিলিন অ্যান্ড কো.।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট অভিযোগ করে ক্রেডিট সুশে ব্যাংকে ২২ হাজার আমেরিকান গ্রাহক ১২ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ জমা করেছে।
২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ইউবিএস স্বীকার করে তারা ৫২ হাজার আমেরিকানের কর ফাঁকি দিতে সাহায্য করেছে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সুইজারল্যান্ডের ওপর আরো বেশি চাপ প্রয়োগ শুরু করে। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের ৩০০টির বেশি বেসরকারি ব্যাংকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক সম্পদ মজুদ রয়েছে। বণিকবার্তা।