পাঁচ শ্রেণির করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া অন্য সব করদাতার অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। সোমবার (১১ আগস্ট) এসংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩২৮-এর উপধারা (৪)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ৪ আগস্ট থেকে ২০২৫-২০২৬ করবর্ষের জন্য সব স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে।
যে পাঁচ শ্রেণির করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—১. ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ করদাতা; ২. শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা (সনদ দাখিল সাপেক্ষে); ৩. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা; ৪. মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি এবং ৫. বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক। তবে তারা চাইলে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এর আগে ৩ আগস্ট সারা দেশের সব ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার অনলাইনে (www.etaxnbr.gov.bd) আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।
আজকের বিশেষ আদেশে আরো বলা হয়েছে, ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনসংক্রান্ত সমস্যার কারণে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার বরাবর আবেদন করতে পারবেন। আবেদনে সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা উল্লেখ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত/যুগ্মকর কমিশনারের অনুমোদনক্রমে উক্ত করদাতা পেপার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
গত বছর সীমিত পরিসরে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার পর ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধের মাধ্যমে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে রসিদ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করতে পারবেন।
