Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের আরও একটি শোচনীয় পরাজয়

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ৪৮৪/৭ (ইনিংস ঘোষণা) (ব্রাফেট ২১২, চন্দরপল ৮৫*; তাইজুল ৫/১৩৫), ১৩/০

chardike-ad

বাংলাদেশঃ ১৮২, ৩১৪ (ফলো অন) (মুশফিক ১১৬, মাহমুদুল্লাহ ৬৬; রোচ ৪/৬৪)

ফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ কির্ক ব্রাফেট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ইনিংস পরাজয় এড়াতে পঞ্চম দিনে প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নৈরাশ্যবাদী সমর্থকটিক বোধহয় এই অবস্থান থেকে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা আর করেন নি। বরং একটু বেশী আশাবাদীরা স্বপ্ন দেখছিলেন দেড়-দু’ সেশন ব্যাট করে ম্যাচটাই বাচানো যায় কিনা! কিন্তু দলটা যখন বাংলাদেশ তখন যে আশার চেয়ে আশংকাটা সবসময়ই বেশী থাকা উচিৎ, তা যে অবস্থান থেকেই হোক…সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল। ফলাফল, কোনওক্রমে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ১০ উইকেটে হার মানলো মুশফিক বাহিনী।

অবশ্য এই হারটাকে তুলনামূলক ‘সম্মানজনক’ করার প্রায় পুরো কৃতিত্বটাই নিঃসঙ্গ শেরপার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়লেন অনবদ্য ১১৬ রান করে।

গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট নিয়ে শেষ দু' দিনের সবচেয়ে সফল বোলার কেমার রোচ। ক্রিকইনফো।
গুরুত্বপূর্ণ ৪ উইকেট নিয়ে শেষ দু’ দিনের সবচেয়ে সফল বোলার কেমার রোচ। ক্রিকইনফো।

দিনের শুরুতে ৫ উইকেটে ২৫৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আরও ২৩ রান যোগ করে রোচের বলে গ্যাব্রিয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাসির হোসেন (১৯)। সপ্তম উইকেটে শুভাগত হোমকে এক প্রান্তে রেখে আরও ১২ রান তোলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দলীয় ২৯১ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত কোন রান না করেই রোচের এলবিডব্লুর ফাঁদে ধরা দেন শুভাগত। ১ রান বাদে গ্যাব্রিয়েলের একই ওভারে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ও রুবেল। বাংলাদেশ ২৯২/৯।

ম্যাচ বাঁচানো দূরে থাকুক, ইনিংস বাঁচানোর আরও ১০টি রানই তখন ঢের বেশী মনে হচ্ছিল। আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস পরাজয়টা এড়াতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে দলনেতাকে। অবশ্য ফলো অনের বাঁধা টপকানো থেকে ৪ রান দূরে থাকা অবস্থায় মুশফিকের বিরুদ্ধে রোচের এলবিডব্লু আবেদনে সাড়া দিয়ে বসেছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ করে সেটা ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। রোচের আগের ওভারে লং অন দিয়ে ছয় মেরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পূর্ণ করেন মুশফিক। দলীয় ৩১৪ ও ব্যক্তিগত ১১৬ রানের মাথায় টেইলরের বলে কাউ কর্নারে ব্রাভোর হাতে ধরা দেয়ার আগে মুশফিক গোটা ইনিংসে জীবন পান ৩ বার। শেষ উইকেট জুটিতে ২২ রান এলেও শেষ পর্যন্ত আল-আমিন অপরাজিত থাকেন শূন্য রানেই।

১৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দু’ ওপেনার ৩ চারের সাহায্যে লক্ষ্যে পৌঁছান মাত্র ২.৪ ওভারেই।