বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৯:০৯ অপরাহ্ন
শেয়ার

পিআরের নামে মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি বানানোতে গণতন্ত্র নেই: সালাহউদ্দিন


Salahuddin
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “গণতন্ত্রের ভাষা হচ্ছে মানুষ যাকে পছন্দ করবে, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। কিন্তু পিআরের নামে মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি বানানোতে কোনো গণতন্ত্র নেই।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, “কেউ কেউ এখনো পিআর-পিআর বলে গলা ফাটাচ্ছে। উদ্দেশ্য পিআর না, উদ্দেশ্য হচ্ছে এ নিয়ে সুবিধা নেওয়া। আমরা আলাপ-আলোচনা করব, যারা এসব কারণে হয়রান হচ্ছেন, তাদের দাবি শুনব এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।”

তিনি বলেন, এই দেশে মানুষ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে ভোটাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।

আওয়ামী লীগ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনার আমলে রাজনীতি ছিল কারাগারে, নির্বাসনে। সংবিধানকে কবর দিয়ে নিশিরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে, তিনি এই দেশের পক্ষের কোনো শক্তি নন।

তার অভিযোগ, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা ছিল ভারতের অঙ্গসংগঠন। আওয়ামী লীগ ছিল এক মাফিয়া শক্তি, এক সন্ত্রাসবাদী ও ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী। তাদের ডিএনএতেই গণতন্ত্র নেই।”

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশদ্রোহী বলা হতো। কারও বক্তব্য পছন্দ না হলেই সাইবার সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করা হতো। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও তারা বন্ধ করেছিল। তিনি মনে করেন, শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট শাসকের উত্থান রোধে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না। উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী।

সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এম মোবারক আলী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ।

দীর্ঘ ৫ বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে হাজারো নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। গাড়ির বহর নিয়ে দলে দলে সমর্থকেরা আসায় পুরো চকরিয়া জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।