বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজনীতি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

গুপ্তরাজনীতির অবসান ও নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ছাত্রদলের


Chattradal
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন করে ছাত্রলীগের পদপদবি নিয়ে ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে- এমন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদলের নেতারা। তাদের দাবি, সেই গুপ্ত রাজনীতির ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং নারী নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটছে নিয়মিতভাবে।

বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকে এক মানববন্ধনে এসব অভিযোগ তোলে ছাত্রদল। এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয় ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে আদালতে রিটকারী এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের হুমকির ঘটনার প্রতিবাদে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রশিবির তাদের গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করতে চায়। সাড়ে ১৫ বছর ধরে তারা গুপ্ত রাজনীতি করছে। যদি সত্যিই লজ্জা পায়, তবে বোরকা পরে, চুড়ি পরে রাজনীতি করুক। ছাত্ররাজনীতি করবে তারাই, যারা সাহসী, বিবেকবান।”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া শিবিরের এক নেতা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আমাদের এক বামপন্থী বোন রিট করেছিলেন। আর সেই অপরাধে গুপ্ত সংগঠনের একজন সদস্য প্রকাশ্যে তাঁকে গণধর্ষণের হুমকি দেয়। আমরা এই হুমকির প্রতিবাদ জানাই এবং সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মী নারীদের ওপর সাইবার বুলিং ও শারীরিক আক্রমণ বন্ধের দাবি জানাই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো গুপ্তরাজনীতি না থাকে- সেই ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিতে হবে। আজ আমার বোনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, কাল অন্য কাউকে দেওয়া হবে। এভাবে চলতে থাকলে নারীরা আরও বিপদের মুখে পড়বে।”

মানববন্ধনে ছাত্রদলের নারী নেত্রীরাও বক্তব্য রাখেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ‘গুপ্তরাজনীতি’ টিকে আছে।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মানসুরা আলম। আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি রেহানা আক্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাকসুদা রিমা, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক রিমি ইসলাম, সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আক্তার মীম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন ঊর্মী, কবি সুফিয়া কামাল হল ভিপি প্রার্থী তাওহিদা সুলতানা, রোকেয়া হলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রাবন্তী হোসেন বন্যা, শরীফা ইসলাম সূচনা, জান্নাতুল ফেরদৌসী জয়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপন্তী রত্না, কবি নজরুল কলেজের মেহেরুন ও বদরুন্নেসা কলেজের মাশফিয়া আক্তার প্রমুখ।