লিবিয়ার উপকূলে শরণার্থীবোঝাই একটি নৌকায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। খবর আলজাজিরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানায়, জীবিতদের মধ্যে ২৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইওএম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছে, সমুদ্রপথে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা নতুন নয়। গত মাসেই ইয়েমেনের উপকূলে শরণার্থীবোঝাই নৌকা ডুবে ৮৬ জনের মৃত্যু হয় এবং নিখোঁজ হন ডজনখানেক মানুষ। শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে সমুদ্রপথে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর প্রাণহানি ঘটেছে। আইওএম জানিয়েছে, এ রুটটি এখন শরণার্থীদের জন্য “মৃত্যুর উপত্যকা”তে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে লিবিয়ায় প্রায় ৮ লাখ ৬৭ হাজার অভিবাসী রয়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের কাছে অন্যতম রুটে পরিণত হয়। গাদ্দাফির শাসনামলে আফ্রিকার বহু মানুষ কাজের সন্ধানে লিবিয়ায় যেতেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা বাড়তে থাকে।
গত আগস্টে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ল্যামপেদুসার কাছে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জন প্রাণ হারান। জুনে লিবিয়ার উপকূলে দুটি নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হন অন্তত ৬০ জন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীদের ওপর ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের মতো অমানবিক আচরণ চালানো হয়। এনজিওগুলো বলছে, রাষ্ট্র পরিচালিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া এখন আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।






































