বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহর বিশেষ রহমতে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির বিজয় লাভ করেছে। এ বিজয়ে অনেকে বিস্মিত হলেও এর ইতিবাচক প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের পছন্দের এবং যারা আমাদের ভালোবাসেন, তাদের নিয়েই আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে অংশ নিতে চাই। সে নির্বাচনে বিজয় অর্জনের জন্য আর্থিক কোরবানি ও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ওই সময়ের আন্দোলনে অনেকেই শহীদ হয়েছেন, অনেকে অঙ্গহানি বা দৃষ্টি হারিয়েছেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়েই আমরা বিজয়ী হয়েছি। আল্লাহ সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে এর প্রতিদান দিন।”
অসুস্থতা কাটিয়ে প্রথমবার দলের কোনো আনুষ্ঠানিক মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। বলেন, “অসুস্থতা ও সুস্থতা দুটিই আল্লাহর নিয়ামত। আমাদের সব অবস্থাতেই শুকরিয়া জানাতে হবে।”
বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সেই সময়ে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আজ যারা চিকিৎসাধীন, আমরা তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করছি।”
জামায়াত আমির আরও বলেন, “আমাদের নেতারা নানা নির্যাতন ও জুলুম ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেছেন। সেই ত্যাগের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন পরিবেশে কাজ করছি। তবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিনয়ী হতে হবে এবং জনগণের প্রকৃত সেবক হতে হবে। আল্লাহর কাছেই সাফল্য চাইতে হবে।”
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দীকা। ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন ২০২৬’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এছাড়া দারসুল কোরআন উপস্থাপন করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুমসহ কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সারাদেশ থেকে নির্বাচিত শূরা সদস্যরা। বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয় এবং ষাণ্মাসিক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।
