
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর একটি স্বৈরাচার দেশের কাঁধে বসেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আবারও স্বৈরাচার এসেছে এবং দেশের জনগণ তাদেরও বিতাড়িত করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে ভবিষ্যতে আবারও গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটতে পারে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর ধরে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এবং জনগণকে পাশে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। স্বৈরাচার দেশের যে অবস্থা করেছে তা সবাই জানে। তবে এখন আমাদের সামনে কাজ হচ্ছে দেশ পুনর্গঠন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
জনগণকে ক্ষমতার মূল উৎস আখ্যা দিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “দেশ গঠনের শক্তি জনগণের কাছে যেতে হবে। শুধু মিটিং-মিছিল করে হবে না, সবাইকে দুই-তিনজনের টিম করে ঘরে ঘরে যেতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে বিএনপি কীভাবে দেশ পুনর্গঠন করবে, কীভাবে নারীদের ক্ষমতায়ন করবে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির শক্তির উৎস। আমাদের একটাই লক্ষ্য- সবার আগে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের স্বপ্ন, সেখানেই জাতীয়তাবাদী দল।”
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “রাজনীতি দিয়ে ইসলামকে বিভক্ত করতে চাওয়াদের ভোটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। যারা জান্নাতের টিকিট বিক্রি করতে চাইছে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। এই দেশে চেতনার ব্যবসা চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “একাত্তরের চেতনা ব্যবসা করতে করতে শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছে। তার রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে। জনগণ সেই চেতনা ধারণ করেনি। তেমনি জুলাইয়ের চেতনা নিয়েও যেন কেউ ব্যবসা না করে।”
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ভিপি ওয়াসিম।
































