ভারতে তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। এই ঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অন্ধ্র এবং ওডিশায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে এক খবরে জিনিউজ জানিয়েছে, হুদহুদের কারণে প্রবাহিত ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কি.মিতে নেমে এসেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অন্ধ্রের উপকূলে আঘাত হানার সময় এই গতিবেগ ছিল প্রায় ২০০ কি.মি।
হুদহুদের কারণে অন্ধ্র এবং ওডিশায় ভারী বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট উড়ে গেছে।
দুই প্রদেশের কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। ঝড়ের কারণে বিশাখাপত্তমগামী কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া হুদহুদের কারণে ভারতের উপকূলে পানির উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার বেড়ে গেছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় হুদহুদ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে এর প্রভাবে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে আগামী ২-৩ দিন ধরে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে রোববার বিকাল ৪টায় ভারতের উত্তর অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে এটি উত্তর অন্ধ্র ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ ওডিশার স্থলভাগ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের উপর দিয়ে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, এই সিরিজে আর কোন আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে না।